28ºc, Haze
Monday, 27th March, 2023 10:03 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: আল কায়দার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন ও তালিবানের শীর্ষ নেতা মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল-উল-জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা ফখরুল ইসলামকে পাকড়াও করেছেন ঢাকা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের গোয়েন্দারা। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে ফখরুল সহ হুজির ছয় সদস্যকে জালে পোরা হয়েছে। বাকিরা হলেন সাইফুল ইসলাম (২৪), সুরুজ্জামান (৪৫), হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৩), দীন ইসলাম (২৫) এবং মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪৬)। ধৃতরা দেশে বড়সড় নাশকতার ছক কষেছিল।
শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে সিটিসিসি’র প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, গাজীপুরের একটি মাদ্রাসায় নিরাপত্তা রক্ষীর চাকরি করতেন ধৃত ফখরুল ইসলাম। আফগানিস্তানে যুদ্ধে অংশ নিতে ১৯৮৮ সালে পাকিস্তানের করাচি যান। সেখানে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুফতি জাকির হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মুফতি জাকির হোসেন করাচি শহরে ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবং আল কায়দার সামরিক কমান্ডার ছিলেন। জাকিরের সঙ্গেই অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিতে তালিবানদের ঘাঁটি কান্দাহারে যান ফখরুল।
কান্দাহারের সমশেদ পাহাড়ে তালিবান জঙ্গিদের সঙ্গে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র একে-৪৭, এলএমজি ও রকেট লঞ্চার চালানো শেখেন। প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময়ে একাধিকবার আল-কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেন ও তালিবান শীর্ষ নেতা মোল্লা ওমরের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেন। পাকিস্তান, আফগানিস্তানের পাশাপাশি ইরানেও প্রশিক্ষণ নেন। বাংলাদেশে জঙ্গি আস্তানা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৮ সালে ভারত হয়ে দেশে ফেরেন। দেশে ফিরে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদকে (হুজি) নতুন করে সংগঠিত করতে থাকেন। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সাংঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলিতে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা পরিচালনার পরিকল্পনা করেন তিনি। হুজিকে পুনরায় সংগঠিত করে বড়সড় হামলার ছক কষেছিলেন।