নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনতেই দেশে ভোটদানের ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) চালু হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই ইভিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধী দলের অভিযোগ, ইভিএম আসলে শাসকের ভোট কারচুপির নয়া হাতিয়ার। আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট না নেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন বুদ্ধিজীবীদের একাংশ।
বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিতে এবার কোমর কষে আসরে নামল নির্বাচন কমিশনও। ইভিএম নিয়ে সরাসরি সমালোচকদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল। ইভিএমে ত্রুটি রয়েছে কিংবা কারচুপি করা যায় তা প্রমাণ করতে পারলেই এক কোটি ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ৮৭ কোটি টাকা পুরস্কার মিলবে বলে ঘোষণা করেছেন।
দেশের অন্যতম নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান এ খবর জানিয়ে বলেছেন, ‘ইভিএম নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। ইভিএমের বিস্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। আমরা বলছি, ইভিএমে কারচুপি করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তার পরেও যদি কেউ কারচুপি করা যায় প্রমান করতে পারেন তাহলে তাকে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে। আমরা নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনেতিক দলের সঙ্গেই ইভিএম নিয়ে বৈঠকে বসছি। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। তাদেরও ভোট যন্ত্র ভালভাবে পরীক্ষা করার সুযোগ দেওয়া হবে। কোথায় ভুল রয়েছে, তা প্রমাণ করে দেখাতে বলব।’