নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: শিশুকন্যাকে ধর্ষণের (Rape) ঘটনা ধামাচাপা দিতে সালিশি সভা ডেকে নির্যাতিতার বাবাকে আড়াই লাখ টাকার টোপ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর ওই সালিশি সভার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিদ্দিক মিয়া (Siddiq Mia)। টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ জানাজানি হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিপাকে পড়ে অবশ্য সালিশি সভা ডাকার কথা অস্বীকার করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘মিথ্যে কথা রটানো হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে কেউই বিচার চেয়ে আমার কাছে আসেনি।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরিদপুরের (Faridpur) ভাঙার কৈখালী গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলম (Shah Alam) গত বৃহস্পতিবার ২৬ মে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে একই গ্রামের বাসিন্দা সাত বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে। শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অচেতন অবস্থায় তাকে রেখে পালিয়ে যায় শাহআলম। জ্ঞান ফিরে আসার পরে ওই শিশুকন্যা মায়ের কাছে ধর্ষণের ঘটনা জানায়। শুধু ওই দিনই নয়, আগেও একাধিকবার অভিযুক্ত শাহ আলম (Shah Alam) তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায় মেয়েটি।
গত বৃহস্পতিবারই মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা জানাতে আলগী ইউনিয়ন পরিষদে (Algi Union Parishad) গিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা ও মা। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও তারা চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ পাননি। তার পরে আচমকাই সালিশি সভা বসান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। তার পরে শাহ আলমের আড়াই লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করেন। ওই জরিমানার টাকা নির্যাতিতার বাবাকে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে থানায় নালিশ না জানানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু তাতে রাজি হননি নির্যাতিতার বাবা। কিন্তু রবিবার রাতে ফের সালিশি সভা বসানো হয়। ওই সভাতেও আড়াই লাখ টাকানিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এমনকী সালিশি সভার রায় মেনে কাজ না করলে এক ঘরে করে দেওয়া হবে বলেও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার অনুগামীরা লাগাতার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কার্যত প্রভাবশালীদের চাপে আতঙ্কে ভুগছে নির্যাতিতার পরিবার।