নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েও শেষ রক্ষা হলো না। সস্ত্রীক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। আপাতত দুজনেই নিভৃতবাসে রয়েছেন। বাড়িতে নিভৃতবাসে থেকেই মন্ত্রকের কাজকর্ম চালাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী।
দেশে গত মাসখানেক ধরেই বেনজির তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েকদিন ধরেই ১২ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দৈনিক মৃ্ত্যুও। মারণ ভাইরাসের বেলাগাম তাণ্ডবে কার্যত লণ্ডভণ্ড দেশ। বেশ কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলেও সংক্রমণ পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি মারণ ভাইরাস থাবা বসাচ্ছে নেতা-মন্ত্রী ও আমলাদের শরীরেও।
রবিবারই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদ (ক্যাবিনেট সচিব) খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। আর সোমবার রাতে সস্ত্রীক বিদেশমন্ত্রীর করোনায় আক্রান্তের খবর জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক মহম্মদ মহসিন রেজা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও তাঁর স্ত্রী সেলিনা মোমেনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যদিও তাঁদের শরীরে তেমন উপসর্গ নেই।’
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে বিদেশমন্ত্রীর প্রোকলের সঙ্গে জড়িত একাধিক আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। যদিও তাঁরা বর্তমানে সুস্থ। কিন্তু একাধিক ঘনিষ্ঠ আধিকারিক মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরেই নমুনা পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেন বিদেশমন্ত্রী। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসেও করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন তিনি। দেশে করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রন থাবা বসানোর পরেই গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী। কিন্তু তাতে শেষরক্ষা হলো না।