এই মুহূর্তে




বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাড়ি পোড়ানোর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক




নিজস্ব প্রতিনিধি: শেখ হাসিনার ক্ষমতা থেকে উ‍ৎখাতের দিন ঢাকার বিজয় সরণিতে জাতির জনকের মূর্তি যেমন ভাঙা হয়েছিল, তেমনই আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার। কারা লাগাল ওই আগুন? কারা পুড়িয়ে দিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বহণকারী ভবন? বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার তরফ থেকে এ বিষয়ে তদন্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে তাতে বিস্ফোরক লুটতরাজ এবং অগ্নিসংযোগকারী হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়কের নাম। আর ওই সমন্বয়ক হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র হাসনাত আবদুল্লাহ।

পুলিশের বিশেষ শাখার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ৫ অগস্ট রাজধানীজুড়ে কোথায়-কোথায় তাণ্ডব চালানো হবে, তার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছিল ৪ অগস্ট। সংসদ ভবনে হামলার দায়িত্বে ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিশ আলম। গণভবনে হামলার দায়িত্বে ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন এবং আবু বাকের মজুমদার। ধানমন্ডিতে ৩২ নম্বর বাড়িতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে হামলার নেতৃত্বে ছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

শেখ হাসিনার ইস্তফার খবর পৌঁছনোর আগেই ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িতে পৌঁছে যান হাসনাত আবদুল্লাহ ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা। প্রথমেই চলে লুটতরাজ। দোতলায় বঙ্গবন্ধুর ঘর, শেখ জামাল-শেখ কামালের ঘর থেকে মূল্যবান সামগ্রী লুঠ করা হয়। বহু মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিচ্ছিল ইসলামী ছাত্র শিবিরের ক্যাডাররা। কিন্তু হাসনাত আবদুল্লাহ নিজেই একটি কাপড়ে অকট্রন (জ্বালানি তেল) ঢেলে প্রথমে অফিস ঘরে আগুন ধরান। তার সঙ্গী বেশ কয়েকজন অকট্রন তেল ছড়িয়ে দেন পুড়ো বাড়ির চারপাশে। অফিস ঘর থেকে আগুনের লেলিহান শিখা পুরো বাড়িটিকে গ্রাস করে নেয়। চোখের সামনে পুরো বাড়ি পুড়তে দেখে উল্লাস করতে থাকেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও তার সঙ্গী দুষ্কৃতীরা।

বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে লুটতরাজ চালানোর পরে হাসনাত আবদুল্লাহ সঙ্গীদের নিয়ে চলে যান লাগোয়া বাড়িটিতে। ওই বাড়টি ‘জলের গান’ ব্যান্ডের স্রষ্টা রাহুল আনন্দের। প্রথমে রাহুল আনন্দ, তার স্ত্রী উর্মিলা শুক্লা ও ছেলে তোতাকে বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে দেয় হাসনাত আবদুল্লাহ ও তার সঙ্গীরা। তার পরে বাড়ির ভিতরে থাকা ঘরে রাহুলের হাতের তৈরি ও সংগৃহীত তিন হাজারের বেশি বাদ্যযন্ত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বেশ কিছু বাদ্যযন্ত্র সম্পূর্ণ ভাঙতে না পেরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি কারা হামলা চালিয়েছে তা নিয়ে মুখ খুললে জ্যান্ত পুঁতে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হননি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র, বধির-সহ গণধর্ষিতা ৪, খুন ৯ জন

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা

সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে প্রবেশের বয়সসীমা বেড়ে ৩৫, অবসর ৬৫ বছরে

বাংলাদেশের প্রাক্তন তিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা

পুত্র ও কন্যাকে নিয়ে ‘ডিভোর্স অ্যানিভার্সারি’ উদযাপন পরীমণির

বাংলাদেশে আচমকাই নাটকীয় মোড়, সেনাবাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দিলেন রাষ্ট্রপতি

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর