নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গাছ উপরে পড়ে, দেওয়াল ধসে এবং নৌকাডুবির ঘটনায় ওই ২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গত ২৪ ঘন্টার বেশি সময় ধরে অন্ধকারে রয়েছেন প্রায় ৮০ লক্ষ গ্রাহক। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আগামিকাল বুধবার বিকেল হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
গতকাল সন্ধ্যাতে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ভোর রাতে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করে। শক্তি হারিয়ে বর্তমানে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সিত্রাংয়ের জেরে দেশজুড়ে লাগাতার বৃষ্টি ও উপকূলীয় এলাকায় প্রবল জলোচ্ছ্বাসের কারণে ভোলা সদর, দৌলতখান, লালমোহন ও চরফ্যাশনে মারা গিয়েছেন চারজন। সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ের সময় ঢাকার হাজারীবাগেও দেয়াল ধসে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বালি তোলার সময়ে ট্রলার উল্টে আট শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে মোট ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, সিত্রাংয়ের জেরে বিদ্যুৎ পরিষেবা ভেঙে পড়ায় অন্ধকারে রয়েছে প্রায় ৮০ লক্ষ পরিবার। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুত সংবহন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪ কোটি ৮০ লক্ষ গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ৮০ লক্ষ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, লক্ষীপুর, নোয়াখালীতে বিদ্যুৎ বন্টন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।