নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মতো উদ্ধার হল মাদসেবীদের কাছে ‘তৃতীয় নয়ন’ খুলে দেওয়ার মতো ভয়ঙ্কর মাদকদ্রব্য ডাইমেথক্সিব্রোমোঅ্যাম্ফেটামিন (ডিওবি)। মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে খুলনার এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ওই ভয়ঙ্কর মাদকের ৯০টি ব্লটার উদ্ধার করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ডিএনসি) গোয়েন্দারা। প্রতি ব্লট (পিস) ডিওবি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। ঢাকা এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ ওই ভয়ঙ্কর মাদকদ্রব্য নিয়মিত সেবন করেন বলে জানতে পেরেছেন ডিএনসি’র গোয়েন্দারা।
দেশকে সম্পূর্ণ মাদকমুক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু সেই উদ্যোগ সফল না হওয়ার পিছনে রয়েছে একশ্রেণির মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে খুলনার এক মাদক ব্যবসায়ীর গোপন ডেরায় হানা দেন দফতরের গোয়েন্দারা। ওই ব্যবসায়ীর ডেরা থেকে লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড বা এলএসডি নামে মাদকের পাশাপাশি ৯০ পিস ডিওবি উদ্ধার হয়। চমকে যান ডিএনসির গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করা হয় আসিফ আহমেদ শুভ ও তার বন্ধু অর্ণব কুমার শর্মা এবং সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ম্যানেজার মামুনুর রশীদকে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ‘অনেকটা এলএসডির মতো দেখতে হলেও ডিওবি আরও বেশি ক্ষতিকর। অতিরিক্ত সেবনে মৃত্যুও হতে পারে। ডার্ক ওয়েবসাইটে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে পোল্যান্ড থেকে ২০০ ব্লট ডিওবি কেনেন খুলনার পরিচিত মাদক ব্যবসায়ী আসিফ আহমেদ শুভ। গত অগস্ট মাসে কি-ওয়ার্ড `syash’ শব্দটি পান গোয়েন্দারা। তার পর থেকে ওই শব্দের ডি-কোড করেন তাঁরা। তিন মাসের বেশি সময় ধরে অনুসন্ধান চালানোর পরে এদিন ডিওবি’র হদিশ পান। জেরায় ধৃত শুভ জানিয়েছেন, ২০০টি ব্লটের মধ্যে ১১০টি তিনি নিজে সেবন করেছেন ও বিক্রি করে দিয়েছেন। ক্রমাগত চাহিদা বাড়ায় নতুন করে আরও ২০০টি ব্লট ডিওবি’র অর্ডার দিয়েছেন।’