এই মুহূর্তে




 আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ ঢাকার পুলিশ কমিশনারের




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের অপসারণের দাবিতে আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার জিরো পয়েন্টে সমাবেশের ডাক দিয়েছে পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ। আর ওই সমাবেশ ভেস্তে দিতে কঠোর পদক্ষেপের পথে হাঁটল ঢাকা মহানগর পুলিশ। আজ রাজপথে আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকদের দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মাইনুল হাসান। গতকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি মোকাবিলা করা নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। ওই বৈঠকে অধস্তন আধিকারিকদের ঢাকা পুলিশের কমিশনার বলেন, ‘পাগলা কুকুরকে যেমন গুলি করে মারা হয়, রবিবার দেখামাত্রই আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থকদের গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেবেন। রাস্তায় নামা কোনও আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থক যাতে প্রাণ নিয়ে বাড়ি না ফিরতে পারেন, তা নিশ্চিত করবেন।’ আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকদের প্রতি নরম মনোভাব দেখালে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি ফ্যাসিবাদের দোসর তকমা দিয়ে গ্রেফতার করারও হুমকি দিয়েছেন মাইনুল হাসান।

গত ৫ অগস্ট সেনা বিদ্রোহের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তার পর থেকেই দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় ও খুন করা। গত ৩ মাসে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন পুলিশের হাতে ক্রসফায়ারে প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক আওয়ামী কর্মী-সমর্থক। দেশ জুড়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের উপরে চলা নির্যাতনের প্রতিবাদে শনিবার আচমকাই বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের ফেসবুকে ওই বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, ‘‘অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার’ দাবিতে জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে আগামীকাল বিকেল তিনটায় বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সবাই দলে-দলে উপস্থিত হন’।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচির কথা জানাজানি হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব তথা ‘নব্য রাজাকার বাহিনীর’ মুখপাত্র শফিকুল আলম সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগকে কোনও সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগের নামে যারা সভা-সমাবেশ করবেন গণধোলাইয়ে তাদের হাড়গোড় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকদের গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেবে।’ তার ওই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। রাতে আওয়ামী লীগের সমাবেশ রোখা নিয়ে একই কথা শোনা গিয়েছে ঢাকার পুলিশ কমিশনার তথা এক সময়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অন্যতম ইন্ধনদাতা হিসাবে শাস্তির মুখে পড়া মাইনুল হাসানের কণ্ঠেও। তিনিও অধধস্তন আধিকারিকদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, রবিবার রাজপথে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের কোনও মিছিল বের করতে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালাতে হবে। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান কিংবা কাঁদানে গ্যাসের শেল পাঠানোর কৌশল নেওয়া যাবে না। উল্লেখ্য, জুলাইয়ে কোটা আন্দোলনের সময়েও বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ত‍ৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দিল্লি-ঢাকা সঙ্ঘাত চরমে, ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব ইউনূস সরকারের

‘এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়’, এবার দিল্লিকে হুমকি দিলেন ইউনূসের আইন উপদেষ্টা

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিসে হামলার ঘটনায় ৩ পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড

মিলল না জামিন, আরও এক মাস চট্টগ্রামের জেলে চিন্ময় প্রভু

চিন্ময় প্রভুর জামিন শুনানির আগেই হিন্দু আইনজীবীদের বাড়ি-বাড়ি সাদা থান পৌঁছে দিল জামায়াত জঙ্গিরা

গুগল ট্রান্সলেটর দিয়ে মন দেয়া-নেয়া, ধর্ম বদলে বাংলাদেশি তনয়ার সঙ্গে প্রণয়সূত্রে বাঁধা পড়লেন চিনা যুবক

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর