নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: রসিকতার ছলে অনেকেই বলেন, ‘মশা মারতে কামান দাগা’। কিন্তু সত্যিই মশা মারতে কামান দাগা হয়। বছরের পর বছর রাজধানীর বাসিন্দারা চাক্ষুস করেছেন সেই কামান দাগা। কিন্তু দশকের পর দশক ধরে চলে আসা সেই পদ্ধতিতে এবার ছেদ টানতে চলেছে ঢাকা উত্তর পুর নিগম। অর্থাৎ মশা মারতে আর কামান দাগা হবে না। ফগিং মেশিন দিয়ে ছড়ানো হবে না ধোঁয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে ফিরেই এই সিদ্দান্ত নিয়েছেন ঢাকা উত্তর পুর নিগমের মহানাগরিক আতিকুল ইসলাম।
দীর্ঘদিন ধরেই মশার নির্যাতনে জর্জরিত রাজধানীর বাসিন্দা। গত কয়েক বছরে বর্ষা মরসুমে মশার বাড়বাড়ন্তে রাজধানীর অসংখ্য মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকী মৃত্যুর কোলেও ঢলে পড়ছেন বহু মানুষ। এডিস ও কিউলেক্স নামে দুই প্রজাতির মশা নিধনের জন্য সারা বছরই কোটি-কোটি টাকা খরচ করে ধোঁয়া ছিটানো ও ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর কাজ চলছে। কিন্তু তাতে খুব একটা সুরাহা হচ্ছে না। মান্ধাতা আমলের পদ্ধতি প্রয়োগ করে সত্যি মশা মারা যায় কিনা, তা নিয়ে অনেকদিন ধরেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে গিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর পুর নিগমের মহানগর আতিকুল ইসলাম। ওই সফর শেষে ফিরে এসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর পুর নিগমের আওতাধীন এলাকায় মশা মারতে কামান দাগা বন্ধ করে দেওয়া হবে। কেননা, আমরা এতদিন ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করেছি। তাতে মশা ধ্বংস হয়নি। বরং অর্থের অপচয় হয়েছে। এখন আমরা মশার প্রজাতি চিহ্নিত করতে একটি ল্যাব স্থাপন করতে চাই। তার মাধ্যমে মশার বিভিন্ন প্রজাতি ধ্বংসে কীটনাশক প্রয়োগ করা হবে। এখন ফগিংয়ে অর্থ অপচয় না করে লার্ভিসাইডিংয়ে বেশি গুরুত্ব দেব।’