নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: শেখ হাসিনা (Sk Hasina) সরকার ২০০৯ সালে দেশের ক্ষমতায় আসার পরেই লাগাতার নির্যাতনের শিকার হিন্দুরা (Hindu)। সেই মাত্রাছাড়া নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অসংখ্য হিন্দু নিজেদের জন্মভিটে ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে পাড়ি জমিয়েছে প্রতিবেশী ভারতে। আর তার ফলে দেশে গত দশ বছরে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ। স্বাধীনতার পরে ১৯৭৪ সালে যেখানে দেশি হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ, তা গত ২০২১ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশে। অর্থাৎ ৪৭ বছরে দেশে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। বুধবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত জনসুমারি রিপোর্টে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
এদিন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সংস্থার প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ। ২০১১ সালের জনগণনায় জনসংখ্যার গড় বৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৯ জন। ২০১১ সালের তুলনায় সাক্ষরতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের (Muslim Religious) সংখ্যা বেড়েছে। ২০১১ সালে যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ৯০ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৯১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। মুসলিম জনসংখ্যা বাড়লেও অন্য ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা কমেছে। ২০১১ সালে দেশে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ, বৌদ্ধ জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ৬২ থেকে কমে শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ, খ্রিস্টান জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ৩১ থেকে কমে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ এবং অন্যান্য ধর্মের জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ১৪ থেকে কমে শূন্য দশমিক ১২ শতাংশে নেমে এসেছে।’ হিন্দু জনসংখ্যা কমে যাওয়ার দুটি কারণ মনে করা হচ্ছে। প্রথমত, হিন্দুরা দেশ ছাড়ছেন। দ্বিতীয়ত, হিন্দু জনগোষ্ঠীর মধ্যে মোট প্রজনন হার বা টোটাল ফার্টিলিটি রেট তুলনামূলক কম।