নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভারতীয় এক মহিলার সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ হয় বাংলাদেশের এক যুবকের।এরপরেই তাদের মধ্যে বিবাহ সম্পন্ন হয়। জানা গিয়েছে, ভারতীয় ওই মহিলার নাম রিয়া বালা এবং বাংলাদেশের ওই যুবকের নাম বিটু রায়। ভারতে গিয়ে রিয়াকে বিয়ে করে বিটু। তবে বেশ কয়েকদিন সংসার করার পর বিটু তাঁর স্ত্রী রিয়াকে রেখে বাংলাদেশে চলে যায়। এরপর থেকেই রিয়ার সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে বিটু।
জানা যায়, গত ২৯ নভেম্বর বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে তেঁতুলিয়ায় বিটু রায়ের বাড়িতে আসেন রিয়া বালা। সঙ্গে বিয়ের প্রমাণ হিসেবে নিয়ে আসেন পঞ্চায়েত প্রধানের প্রত্যয়নপত্র ও কিছু ছবি। তাঁর আসার খবরে পেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বিটু। তাই রিয়া বিটুর বাড়িতে এলে তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। স্বামীর বাড়িতে নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বিকে ফোন করে সহযোগিতা চান রিয়া। তারপর তাঁকে তেঁতুলিয়া থানার নারী ও শিশু সেল উদ্ধার করে। এই বিষয় নিয়ে বিটু রায়ের বাবা অখিল চন্দ্র রায়কেও ডেকে আনা হয়। তিনি ছেলে ফিরে এলে তাঁকে নিয়ে ভারতে গিয়ে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, রিয়া বালা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার অম্বিকা কালনা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাবা শ্যামল কান্তি বালা ভারতীয় রেলওয়েতে চাকরি করেন। আর বিটু রায় বাংলাদেশের তেঁতুলিয়ার দেবনগর ইউনিয়নের শিবচণ্ডী গ্রামের কৃষক অখিল চন্দ্র রায়ের ছেলে। এই বিবাহ নিয়ে রিয়া জানান, গত ২১ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ থানার শিকারপুর এলাকায় বিটু রায়ের পিসির বাড়িতে তাঁকে বিয়ে করেন বিটু। বিয়ের পর তাঁরা সেখানে প্রায় এক মাস বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। দেশে ফিরে রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করেন বিটু। বাধ্য হয়ে তিনি স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশে আসেন।
বিটু রায়ের বাবা অখিল চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিটু ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করত। গত দুর্গাপূজার আগে ভারতে গিয়ে কিছুদিন ছিল। তবে বাড়িতে এসে বিয়ের ব্যাপারে কিছুই বলেনি ।‘ প্রসঙ্গত এই ঘটনার পর তেঁতুলিয়ার ইউএনও ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন,’রিয়া তাদেরকে ফোন করে নিরাপত্তাহীনতার কথা জানান। তাই নারী ও শিশু সেল রিয়াকে উদ্ধার করে। পরে রিয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হলে তাঁকে তাঁর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।‘