নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পর্যটক ভিসা চালু হওয়ার পরেই দুই দেশের মধ্যে ট্রেন পরিষেবা চালু করা হবে বলে বুধবার জানিয়ে দিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলামের সঙ্গে এদিন বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পর্যটক ভিসা চালু হওয়ার পরেই ৫৪টি আন্তঃদেশীয় ট্রেন চালু করা হবে।’ অর্থাৎ ‘মৈত্রী’, ‘বন্ধন’ ও ‘’মিতালি’ এক্সপ্রেস কবে থেকে চালু হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেল। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ নিয়ে শ্লথগতির কথা উল্লেখ করে রেলমন্ত্রীকে নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রদূত।
এদিন ভারতের অর্থায়নে বাংলাদেশে যে সব প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে তা নিয়ে রেলমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিক্রম দোরাইস্বামী। বৈঠকে খুলনা-মোংলা প্রকল্প, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ নতুন রেললাইন নির্মাণ, সৈয়দপুরে কোচ তৈরির কারখানা নির্মাণ, ঢাকা টঙ্গী তৃতীয়, চতুর্থ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প, কুলাউড়া-শাহবাজপুর প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে ভারতের অব্যবহৃত রেলইঞ্জিনগুলি বাংলাদেশকে অনুদান হিসেবে দেওয়ার অনুরোধ জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। যদিও এবিষয়ে স্পষ্ট কোনও আশ্বাস দেননি ভারতের রাষ্ট্রদূত। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের আধিকারিকদের গোচরে বিষয়টি আনা হবে বলে জানান তিনি। ভারতের অনুদানে নির্মিত আখাউড়া-আগরতলা প্রকল্পের কাজের শ্লথগতির বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। রেলমন্ত্রী আশ্বাস দেন, আগামী মাসে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিদর্শন করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
করোনা সংক্রমণের পরেই দু’দেশের মধ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রেল পরিষেবা। দ্রুত ওই পরিষেবা শুরু করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েকে অনুরোধ জানিয়েছিল ভারতীয় রেল মন্ত্রক। যদিও পর্যটক ভিসা চালু না হওয়া পর্যন্ত রেল পরিষেবা চালু সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এদিনের বৈঠকে আন্তঃদেশীয় ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু করার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, দুই পক্ষই ঐক্যমতে পৌঁছেছে যে সাধারণ পর্যটক ভিসা চালু না হওয়া পর্যন্ত রেল পরিষেবা শুরু করা হবে না।