নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা: তিন বছর আগে খুলনার সোনাডাঙ্গায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অপরাধে ছয় নরপিশাচকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত। পাশাপাশি নাবাল হওয়ায় আরও চার জনকে আট বছর করে কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামিদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক ছালাম খান এই রায় দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘গত ২০১৯ সালের ২৯ জুন খুলনার সোনাডাঙ্গা বিহারী কলোনি এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ১০ নরপিশাচ। ধর্ষণের পরে ওই শিশুটিকে মৃত মনে করে ফেলে দিয়ে যায় ধর্ষকরা। ওই দিন রাতেই নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরের দিন নির্যাতিতার দিদি ৯ জনকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ১০ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট পেশ করেন সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মমতাজুল হক।
তিন বছর ধরে শুনানি শেষে এদিন রায় ঘোষণা করে আদালত। মোরশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস, শেখ শাহাদাত হোসেন, রাব্বি হাসান পরশ, মাহামুদ হাসান আকাশ, কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম ও মিম হোসেনকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়। এদের মধ্যে মোরশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস, শেখ শাহাদাত হোসেন ও কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম পলাতক। বাকি ৩ জন রায় ঘোষণার সময়ে এজলাসে হাজির ছিলেন। আসামিদের চার জন প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তাদেরকে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে অপ্রাপ্তবয়স্কদের সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছর পর্যন্ত।