নিজস্ব প্রতিনিধি: শোকের ছায়া গোটা দেশে। করোনাকে হারালেও জীবনযুদ্ধে হেড়ে গিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। ৯২ বছর বয়সে থেমে গিয়েছে কিন্নরকণ্ঠীর সুর। আর শোনা যাবে না সেই গলা। ভারতে নয় বাংলাদেশের শিল্পীমহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শোকপ্রকাশ করেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় গায়িকা রুনা লায়লা। শোকবার্তা দিতে গিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় গায়িকা আঁখি আলমগীর। তিনি জানিয়েছেন, ‘লতাজীর সঙ্গে দেখা করার আগে সারারাত আমি ঘুমাতে পারিনি। কখন সকাল হবে কখন এই কিংবদন্তির সঙ্গে দেখা করব এই চিন্তাতেই ভোর হয়ে গিয়েছিল। লতাজীর সঙ্গে আমাদের দেখা হয়েছিল ২০১৭ সালে। বাবার (নায়ক আলমগীর) ‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবির গান রেকর্ডিং এর জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। রেকর্ডিং এর আগে সুযোগটা হয়েছিল, আর সেটা করে দিয়েছিলেন রুনা আন্টি। সেদিন ৩০ মিনিট সময় দেওয়ার কথা বলে আমাদের সঙ্গে আড়াই ঘন্টা আড্ডা দিয়েছিলেন। সে দিনের কথা কোনোওদিনই ভুলবো না আমি। এই মুহুর্ততা আমার জীবনের সেরা মুহুর্তের একটি।’
আঁখি আরও জানিয়েছেন, ‘আড়াই ঘণ্টার পুরোটা সময় লতা মঙ্গেশকরের পায়ের কাছে বসেছিলাম। আমি পুরোটা সময় উনার হাত ধরে পায়ের কাছে বসেছিলাম। যদিও লতাজী বারবার আমাকে উনার পাশে সোফায় বসাতে চাইছিলেন, কিন্তু আমি মেঝেতে উনার পায়ের কাছেই বসেছিলাম। আমি আসলে ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না সেই দিনের অনুভূতি। আমি একটা ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছিলাম।’ তবে শুধুই দেখা আর আলোচনা নয়, আঁখি ও রুনা লায়লা কিন্নরকণ্ঠীর কাছ থেকে পেয়েছিলেন কিছু উপহার। রুনা লায়লাকে একটি শাড়ি, নিজের আত্মজীবনী, ভাগ্নী রচনার লেখা বই এবং নিজের গানের সিডি উপহার দেন। আর তাকে একটি জামদানি শাড়ি উপহার দেন রুনা লায়লা।