নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ভোটপ্রচারে বেরিয়ে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রাণঘাতী হামলার শিকার হয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক তথা হিযবুত তাহরীর জঙ্গি শরিফ ওসমান হাদি। ঘটনার পর তাঁকে তড়িঘড়ি রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনিই ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার মূলপাণ্ডা। টানা ৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

সিঙ্গাপুরে অস্ত্রোপচার শেষে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ। তিনি বলেছেন, আজ বিকেল ৫টা নাগাদ (বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী) ওসমান হাদির পরিবার তাঁর অস্ত্রোপচারের জন্য সম্মতি দেয়। এরপর তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপারেশন শেষে চিকিৎসকেরা তাঁর মৃত্যুর খবর দেন।

তবে বাংলাদেশে তাঁর মৃত্যুর খবরটি অনেক পরে জানানো হয়। এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাঁর দেহ কবে দেশে ফেরানো হবে সেটাও পরে জানানো হবে। উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় ভোট প্রচারে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন শরিফ ওসমান হাদি। চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে কয়েক জন দুষ্কৃতী তাঁর মাথায় গুলি করে পালায়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারত ও মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করতে ইনকিলাব মঞ্চ নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন হাদি। বাংলাদেশের আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে তাঁর দল ভোটে দাঁড়াবে। সেই আশায় ভোট প্রচারে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু আর ভোটে জেতা হল না তাঁর, গুলিবদ্ধ হয়ে টানা ৭ দিন লড়াইয়ের পর অবশেষে তাঁর মৃত্যু হল।