-273ºc,
Friday, 9th June, 2023 3:05 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: কিশোর দেখেছিল ভারতীয় হিন্দি সিরিয়াল। সেই ধারাবাহিক তদন্তমূলক। জনপ্রিয় ধারাবাহিকের নাম ‘সিআইডি’। আর তা দেখেই শিশুকে অপহরণ করে টাকা আদায়ে ‘মুক্তিপণ’ চেয়েছিল। পরে খুন করেছিল শিশুটিকে। তবে অপরাধ করলে যে তা চাপা থাকে না। ধরা পড়তেই হয়। এক্ষেত্রেও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলো এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া নাবালক।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বাড়ি আদিল মোহাম্মদ সোহানের। বয়স ছিল মাত্র ৮। সেই শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা (MURDER) করে ১৭ বছরের ৬ মাস বয়সী এক কিশোর। আর তার পরে পুঁতে দেয় মাটির নিচে।
বুধবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ। বলেন, শিশুকে গ্রেফতারের দায়ে তার গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে গত মঙ্গলবার। জানা গিয়েছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুদ্রগাঁও তালুকদার বাড়ির আনোয়ার হোসেনের ছেলে আদিল মোহাম্মদ সোহান। গত ১৫ মে মাগরিবের নামাজ পড়তে সে গিয়েছিল পাশের বাড়ির মসজিদে। নামাজ শেষ হলেও ফেরেনি শিশু। এতে তার পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন। গত ১৬ মে ফরিদ্গঞ্জ থানায় দায়ের করা হয় অভিযোগ। এরপরে গত ১৯ মে সকাল সাড়ে ৯টায় বাড়ির কাছে একটি জমি থেকে উদ্ধার হয় পচাগলা শিশু দেহ। ওই দিন ফরিদ্গঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন মৃতের বাবা। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। নেতৃত্বে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ।
পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধী নাবালক ওই শিশুকে নামাজের পরে একটি নার্সারি’তে নিয়ে গিয়েছিল। এরপরে চেপে ধরে গলা ও মুখ। মুক্তিপণের জন্য ওই শিশু’র মাকে ফোন-ও করেছিল। তবে সেই সময় মা ঘরে ফোন রেখে বাইরে গিয়েছিলেন ছেলেকে খুঁজতে। তাই ফোন ধরতে পারেননি।
জানা গিয়েছে, পরে অভিযুক্ত কিশোর ওই শিশুর পরিবারের সবার সঙ্গে মিশে খোঁজার অভিনয় করে। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ সবাই চলে গেলে কিশোর এসে দেখে শিশু মৃত। রাত ১টা নাগাদ পাশের বাড়ি থেকে দা এবং কোদাল এনে মাটি খুঁড়ে অন্য একজনের জমিতে শিশু দেহ পুঁতে দেয়। তারপরে ওই দা এবং কোদাল ধুয়ে পরিষ্কার করে আবার রেখে দেয়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তার মায়ের সিমকার্ড ব্যবহার করেছিল ফোন করতে। সেটিও সে পুড়িয়ে দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গৃহশিক্ষক হওয়ার জন্য সে ঘনিষ্ঠ ছিল শিশুটির পরিবারের। জানত ওই শিশুর পরিবারের কাছে অনেক টাকা আছে। অভিযুক্ত গরীব। সে টাকা হাতাবার লোভেই অপহরণের পরিকল্পনা করে। অভিযুক্তের দাবি, সে ধারাবাহিক দেখে ভেবেছিল ৪০ সেকেন্ড মুখে চাপ দিয়ে রাখলে মানুষ অজ্ঞান হয়। তবে মৃত্যু হয় না। তা কাজে লাগাতে গিয়েই খুন হয়।