নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: পেটের দায়ে বাবা-মা দুজনেই বাড়িতে শিশুকন্যাকে রেখে কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আর সেই সুযোগে বাড়িতে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করল এক নরপিশাচ। শুধু তাই নয়, ধর্ষণ শেষে চলে যাওয়ার সময়ে নির্যাতিতার হাতে ২০ টাকা গুঁজে দিয়ে বিষয়টি কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়েছে। এমনই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে। শিশুটির বাবা-মা ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়েই অভিযুক্ত নরপিশাচকে ধরতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে তাহিরপুরের এক দম্পতি বাড়িতে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া শিশুকন্যাকে রেখে কয়লা কুড়োতে যাদুকাটা নদীতে চলে যান। কাজ শেষে সন্ধ্যার দিকে স্বামী-স্ত্রী বাড়িতে ফিরে আসেন। বাড়িতে আসার পর শিশুটি জানায়, ঘরে একা পেয়ে ২০ টাকা হাতে দিয়ে তাকে ঘরের দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করেছে একই গ্রামের বাসিন্দা আবু কালাম ওরফে খেলু। যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে গিয়েছে, ঘটনার কথা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলবে।
মেয়ের কাছ থেকে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার কথা জানতে পেরে গ্রামের মোড়লদের কাছে নালিশ জানিয়ে প্রতিকার চায় নির্যাতিতা শিশুর বাবা-মা। কিন্তু অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে একদল পরামর্শ দেয়, টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে। গরিব হলেও মেয়ের ইজ্জতের বিনিময়ে টাকা নিতে রাজি হয়নি নির্যাতিতার বাবা-মা। রাতেই ন্যায় বিচারের জন্য মেয়েকে নিয়ে থানায় হাজির হন দুজনে। তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার জানিয়েছে, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরেই অভিযুক্তকে ধরতে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। ঘটনার পরেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত।’