নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: গুলিস্তান বিস্ফোরণে সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন কামাল আহমেদ। বাবুবাজারে এক বেসরকারি ক্যুরিয়ার সংস্থার কর্মী কামাল অফিস শেষে বাড়ি ফেরার পথে ঢুঁ মেরেছিলেন সিদ্দিক বাজারে। আচমকাই বিকট শব্দে পায়ের নিচের মসাঋটি কেঁপে উঠল। হাতের উপরে কী একটা ভারী বস্তু আঘাত হানল। তাতেই হাতে থাকা বাজারের থলি ধপ করে পড়ে গেল। সবজি আর ফল নিমিষেই রাস্তায় গড়াগড়ি খেল। যন্ত্রণাবিদ্ধ কামাল দেখলেন, চারিদিকে কালো ধোঁয়া। রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়চ্ছেন মানুষ। তার পরে আর কিছু মনে নেই। যখন হুঁশ ফিরল তখন দেখলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের বারান্দায় শুয়ে। ঘন্টা দুয়েক বাদেও কামালের চোখেমুখে স্পষ্ট আতঙ্কের ছাপ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে সন্ধান মিলল গুলিস্তান বিস্ফোরণের আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী সাভারের বাসিন্দা আবুল কালামের। নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বললেন, ‘ শ্যামপুর থেকে বাসে করে সাভারে ফিরছিলাম। ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি আসতেই কানে ভেসে এলো বিকট শব্দ। বাসের উপরে কী যেন একটা ভারি বস্তু এসে পড়ল। তার পরে আর কিছু মনে নেই।’
আর এক প্রত্যক্ষদর্শী পেশায় ভ্যান চালক সেন্টু জানিয়েছেন, ‘বিস্ফোরণের সময়ে গুলিস্তানে প্রচুর যানজট ছিল। ফলে অনমেকেই সিগন্যালের কারণে রাস্তার ওপরে দাঁড়িয়েছিলেন। আর তাতেই বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে আসা কাঁচ ও লোহার টুকরোর আঘাতে আহত হয়েছেন।’ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুলিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।