নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: নিজের অদ্ভুত আচরণের কারণে দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিদেশেও যথেষ্ট পরিচিত আশরাফুল আলম। থুড়ি হিরো আলম। মিউজিক ভিডিওয়ের নামে বেলেল্লপনার জন্য প্রায়শই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিরোনামে থাকেন তিনি। সেই স্বঘোষিত গায়ক-নায়ককে বৃহস্পতিবার গলাধাক্কা খেতে হল। তাও আবার সাংসদ পদে ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করায়।
ঘটনাটি তাহলে খুলেই বলা যাক, বিএনপির সাংসদদের পদত্যাগের ফলে পাঁচটি শূন্য আসনে আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী পাঁচই জানুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের কাছে ফরম বিক্রি শুরু করা হয়েছে।
বগুড়া চার আসনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে নিয়ে বৃহস্পতিবার সাঙ্গপাঙ্গোদের নিয়ে বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন হিরো আলম। প্রার্থী হওয়ার জন্য ফরম কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু জাতীয় পার্টির দফতর সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও ভাঁড়কে দলের ফরম বিক্রি করা হবে না। ওই কথা শুনেই রেগে আগুন হয়ে যান হিরো আলম। নিজেকে জাতীয় পার্টির সক্রিয় সদস্য হিসেবে দাবি করে জানান, ২০১৮ সালে জাপায় যোগ দিয়েছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাপার মনোনয়ন ফরমও কিনেছিলেন। তবে মনোনয়ন না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে। এমন গলাধাক্কা হজম হয়নি বাংলাদেশের মানুষের কাছে জোকার হিসেবে পরিচিত হিরো আলমের। সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নির্দল প্রার্থী হিসেবে সংসদের উপনির্বাচনে প্রার্থী হবেন।