নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: কথায় বলে ফেলো কড়ি, মাখো তেল। কিন্তু কড়ি ফেলেও ভোট বৈতরণী পার হতে পারেননি টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাসাইল থেকে লড়তে নামা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। ভোট বৈতরণী পার হতে ভোটের আগে দরাজহস্তে বিলি করেছিলেন টাকা। প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বিলি করেছিলেন। কিন্তু ভোটের ফলাফল বের হতেই দেখা গেল ডাহা ফেল করেছেন তিনি। আর তার পরেই চটে লাল হয়ে গিয়ে ভোটারদের দেওয়া টাকা ফেরত চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন রফিকুল। না হলে টাকা নেওয়া ভোটারদের নাম ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন। আর তাতেই কেল্লাফতে। বুধবার সাত জন ভোটার এসে টাকা ফেরত দিয়েছেন।
সদ্য সমাপ্ত জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাসাইল থেকে সদস্যপদে লড়েছিলেন রফিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি জানান, ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে উপজেলার ফুলকি ইউপির ৮, হাবলা ইউপির ৫, পৌরসভার ৫, সদর ইউপির ১১, কাউলজানী ইউপির ৯, কাঞ্চনপুর ইউপির ৫ ও কাশিল ইউপির ৭ জন টাকা নিয়েছিলেন। প্রত্যেককে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। মূহুর্তেই ওই পোস্ট স্থানীয়দের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও ওই পোস্ট নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আর তাতেই নড়েচড়ে বসেন টাকা নেওয়া ভোটাররা। সূত্রের খবর, টাকা গ্রহণকারী ভোটাররা তাদের নাম প্রকাশ না করার জন্য রফিকুল ইসলামকে অনুরোধ জানান। বুধবার হাবলা, সদর, কাঞ্চনপুর, কাউলজানী ও ফুলকি ইউপির অন্তত সাতজন ভোটার দুই লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন। ভোটের আগে কেন টাকা বিলি করেছেন জানতে চাওয়া হলে রফিকুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোটাররাই দেখা করে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা দাবি করেছিলেন। তাই ভোটে ঝয়লাভ করার লোভে তাদের টাকা দিয়েছিলাম।’ উল্লেখ্য যে আসন থেকে রফিকুল হেরে গিয়েছিলেন সেই ওয়ার্ডে মোট ভোটার ছিলেন ৯৪ জন। পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে তিন প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। ৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন নাছির খান। মহম্মদ রফিকুল ইসলামের ভাগ্যে জুটেছিল মাত্র সাত ভোট।