এই মুহূর্তে




ভয়ংকর ঘটনা, স্বামীকে ৯ টুকরো করে সেফটিক ট্যাংকে ফেললেন স্ত্রী

courtesy google




নিজস্ব প্রতিনিধি : স্বামীর দেহকে ৯ টুকরো করে সেফটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রেখেছিলেন স্ত্রী। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন অভিযু্ক্ত স্ত্রী সহ ছেলেমেয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর গ্রামে। পারিবারিক কলহের জেরে নিজের স্বামীকে টুকরো টুকরো করে পলিথিনে পেঁচিয়ে পাশের বাড়ির সেফটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে স্ত্রী। মৃতের নাম অরুন মিয়া। এই ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে মোমেনা বেগম (স্ত্রী), রাসেল (ছেলে)ও লাকী (মেয়ে)।এই ঘটনার চারদিন পর মঙ্গলবার তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেল থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না অরুন মিয়ার। অনেক খোঁজাখুজির পর কোন হদিশ না পান নি পরিবারের লোকেরা। অবশেষে থানার দ্বারস্থ হন নিহতের বাবার সুরুজ ব্যাপারী ও মৃতের প্রথম স্ত্রীর ছেলে লুৎফুর রহমান। বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল। এরপর থেকেই তদন্তে নেমেছিল পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গিয়েছে, অরুণ মিয়া প্রথম স্ত্রী মৃত্যুর পর ৩৫ বছর আগে দ্বিতীয় বিবাহ করেন একই গ্রামে মোমেনা বেগমকে। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চরম আকার ধারণ করে। এক পর্যায়ে অরুন মিয়া তাঁর প্রথম স্ত্রীর ছেলে রুবেলের কাছে ঢাকায় চলে যান।

অন্যদিকে অরুন মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান দুবাইয়ে কর্মরত অবস্থায় মারা যান। পরে দেশে এনে তার সৎকার করা হয়। তাঁর (অরুন মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান)বিদেশ যাওয়ার সময় পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ঋণ করেন। পরবর্তীতে অরুন মিয়া তার জমি বিক্রি করে দেনা পরিশোধ করেন। এর পর থেকেই তাঁদের দাম্পত্য জীবনে আরও কলহের সৃষ্টি হয়।

প্রতিবেশীদের কথায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁরা পাশের বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ পান। পরে টর্চ লাইট দিয়ে দেখেন পলিথিনে মোড়ানো কিছু জিনিস। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ পলিথিন প্যাঁচানো মধ্যে মৃতদেহ দেখতে পান। পরে মৃতদেহের পরিচয় জানা যায়।

অন্যদিকে এই গটনার পর অরুণ মিয়ার প্রথম স্ত্রীর সন্তান লুৎফুর রহমান রুবেল জানান, তাঁর বাবা সাত বছর তাঁর কাছে ছিল কিছুদিন আগে প্রতিবেশীরা বিষয়টি মিটমাট করে দিয়েছিল। তাঁর সৎ মায়ের সঙ্গে সঙ্গে থাকা শুরু করে দিয়েছিল তাঁর বাবা। এরইমধ্যে তাঁর সৎ ভাই সৌদি আরবে মারা যায়। তার বিদেশ যাওয়ার সময় অনেক টাকা দেনা ছিল পরবর্তীতে তাঁর বাবা জমি বিক্রি করে এই দেনা পরিশোধ করে। কিন্তু কয়েক দিন থেকে ফোনে তাঁর বাবার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও পান নি লুৎফুর। তাই তিনি ও তাঁর দাদু মিলে থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

একই বৃন্তে দুইটি কুসুম, বৃষ্টি থেকে বাঁচাতে নামাজ পড়া মুসলিমের মাথায় ছাতা ধরল হিন্দু পুলিশ কর্মী

পুলিশকে দেখে খালে ঝাঁপ, ৩ ঘন্টার চেষ্টায় কচুরিপানার ভেতর থেকে আটক ধর্ষণের আসামি

বাংলাদেশ :৫০ হাজার বেশি ধান দিয়ে গড়া হল দু্র্গা প্রতিমা

‘মিস বাংলাদেশ’ খেতাব জিতলেন ইচ্ছা

কবর থেকে উঠে এসে হামলা! বাংলাদেশে মৃত আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে মামলা

প্রেমের টানে কয়েক হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে কুমিল্লায় হাজির ইন্দোনেশিয়ার তরুণী

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর