এই মুহূর্তে




মৌলবাদীদের দাবি মেনে ঢাকায় বুলডোজার দিয়ে দুর্গামন্দির গুঁড়িয়ে দিল ইউনূস সরকার




নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশ যে আর হিন্দুদের নয় তা প্রতি মুহুর্তেই বুঝিয়ে দিচ্ছে মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। এবার জামায়াত ইসলামী-সহ মুসলিম মৌলবাদীদের দাবি মেনে ঢাকার খিলক্ষেতের ৫০ বছরেরও বেশি পুরনো দুর্গামন্দির বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন। শুধু তাই নয়, মন্দিরে থাকা প্রতিমা সরিয়ে নেওয়ারও সময় দেয়নি। বুলডোজার দিয়ে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিমা। স্বাধীন বাংলাদেশে এই প্রথম সরকারের উদ্যোগেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হল কোনও হিন্দু মন্দির। আর ইউনূস সরকারের এমন একপেশে ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে তালিবানি রাজত্ব চলছে। বাংলাদেশকে হিন্দু শূন্য করার খেলায় মেতে উঠেছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হিন্দু নিধন যজ্ঞে লিপ্ত রাজাকার বাহিনীর সদস্য ইউনূস।

স্বাধীনতার পরেই খিলক্ষেতের স্থানীয় হিন্দুরা করোগেটেড টিন দিয়ে একটি দুর্গামন্দির গড়েছিলেন। মন্দিরটিতে নিয়মিত পুজো-অর্চনা হতো। কালীমাতার স্থায়ী প্রতিমাও ছিল।  প্রতিবছর জাঁকজমক করে পালিত হতো দুর্গাপুজো। শেখ হাসিনা জমানার অবসানের পরেই খিলখেতের দুর্গামন্দিরটির উপরে নজর পড়ে মুসলিম মৌলবাদীদের। গত ২৩ জুন রাতে মন্দির ভাঙচুর করে একদল উগ্র মুসলিম। ওই ভাঙচুরের নেতৃত্বে ছিলেন ইসলামিয়া সুইট অ্যান্ড লাইভ বেকারির মালিক মুফতি মাহমুদুল হাসান ও জামায়াত ইসলামী নিয়ন্ত্রিত শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খিলক্ষেত শাখার সভাপতি আবদুল কুদ্দুস। ২৪ ঘন্টার মধ্যে মন্দির অপসারণের সময়সীমা বেঁধে দেয়। মন্দিরে ভাঙচুরের সময় উপস্থিত হিন্দুদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়।

হামলার পরের দিন গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের তরফে খিলক্ষেত দুর্গামন্দির চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি নেওয়া হয়। মন্দিরে হামলাকারীদের গ্রেফতারেরও দাবি জানান। কিন্তু ওই দাবি মানা তো দূরে থাক উল্টে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) মন্দির গুঁড়িয়ে দিতে বুলডোজার নিয়ে হাজির হন রেলওয়ের ডেপুটি কমিশনার ও বিভাগীয় এস্টেট অফিসার নাসিরউদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে করে পুলিশ সেনা ও জামায়াত ইসলামী সমর্থকদেরও নিয়ে আসেন। মন্দির ভাঙা রুখতে পাল্টা অবস্থান নেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলা-পুরুষরা। অনেকেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে মন্দিরটি না ভাঙার জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু সেই অনুরোধে কর্ণপাত করেনি পুলিশ ও সেনা সদস্যরা। উল্টে মন্দির রক্ষার জন্য কাতর অনুরোধ জানানো হিন্দু পুরুষ-মহিলাদের উপরে লাঠিও চালায়। অনেকেই বুলডোজার দিয়ে মন্দির গুঁড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। মন্দিরে থাকা প্রতিমা সরিয়ে নেওয়ার জন্য সময় দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন মন্দির কমিটির সম্পাদক শ্যামল দাস। কিন্তু সেই সময় দেওয়া হয়নি। বুলডোজার দিয়ে মাটিতে মিশিয়ে ফেলা হয় মূর্তি। একাধিক মানবাধিকার সংগঠনের তরফে খিলক্ষতের হিন্দু মন্দির বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে ফেলার নিন্দা করা হয়েছে। তাদের মতে এই ঘটনা বাংলাদেশের ধর্মীয় সহনশীলতা ও সংখ্যালঘু অধিকার প্রশ্নে একটি কালো দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

 

 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ইউনূসের জমানায় বিষ মদের রমরমা, খুলনায় বিষাক্ত মদের বলি পাঁচ

এনসিপির লেঠেল বাহিনীতে পরিণত বাংলাদেশ সেনা, এবার কক্সবাজারে বিএনপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর

ঢাকায় আল কায়েদা-আইএসের পতাকা হাতে মিছিল, শ্লোগান উঠল ‘তুমি কে, আমি কে? জঙ্গি-জঙ্গি’

‘বাঁচতে চাইলে শেখ মুজিবের নাম মুখে আনবি না’, গোপালগঞ্জে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে শাঁসানি সেনা-পুলিশের

গোপালগঞ্জে গুলিবিদ্ধ আরও একজনের মৃত্যু, সেনার গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬

সেনার হুমকিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই গোপালগঞ্জে নিহত চারজনের শেষকৃত্য সম্পন্ন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ