নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ৯ অক্টোবর আরাধনা হবে ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মী’র (LAXMI)। আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা’তে পূজিতা হন তিনি। এই আরাধনাকে ‘কোজাগরী লক্ষ্মী’ পুজো বলে। তবে সকলের বাড়িতে তো আর মন্দির নেই। তাই অনেকেই কিনে আনেন প্রতিমা। কিনতে পাওয়া যায় দু এবং চারহাতের বিগ্রহ। অনেকে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানান দু’হাত, চার হাতের দেবীর ছবি আপলোড করে। তবে হিন্দুত্ব মানেই তো আর হিন্দি বলয় নয়। ধর্ম, আচার পালনে মিশে থাকে সংস্কৃতি। বাঙালি-অবাঙালি ভক্তি থাকে একই কিন্তু আগ্রাসনই বা হবে কেন? নিজেদের ঐতিহ্যটুকু টিকে থাক।
বাঙালি’দের লক্ষ্মী কিন্তু দু’হাতের। হিন্দি আগ্রাসনে সেই দেবী মাঝে মাঝে হয়ে যান চার’হাতের। এই পুজো ‘কোজাগরী’। এই শব্দ এসেছে ‘কঃ জাগর’ থেকে। ‘কঃ’ মানে ‘কে’ আর ‘জাগর’ মানে ‘জেগে আছ’। দু’টি শব্দবন্ধ মিলে, কে জেগে আছ? ভক্তরা এই দিনে পুজো করে রাত্রি জাগেন। সারারাত জ্বালিয়ে রাখা হয় ‘জাগ- হাঁড়ি’তে প্রদীপ। ভক্তদের বিশ্বাস, এই সময় দেবী স্বর্গ থেকে নেমে আসেন মর্ত্যে। উল্লেখ্য, যেখানে দুর্গাপুজো হয় সেখানে করতে হয় লক্ষ্মী’র পুজো। বাঙালি মতে, দেবী দুর্গার কন্যা লক্ষ্মী। আবার অন্য মতে, ঋষি ভৃগুর কন্যা লক্ষ্মী।
বাঙালি’র দেবী লক্ষ্মী’র বাহন পেঁচা। কারণ, পোকা-মাকড় ধান, ফসল নষ্ট করে। আর পেঁচা পোকামাকড় খেয়ে ফসল রক্ষা করে। তাই ‘শস্য’ দেবী লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা। তবে অনেক জায়গায় হাতি দেখা যায় কেন? সমুদ্র মন্থনের সময় উঠে এসেছিলেন দেবী ‘শ্রী’। তাঁর সঙ্গে উঠে এসেছিল ২টি হাতি। এই দেবী ছিলেন সুখ সম্পদের। তিনিই পরবর্তী কালে মিলেমিশে হয়েছেন দেবী লক্ষ্মী। হয়েছেন বিষ্ণু জায়া। তবে কারও বিশ্বাস শ্রী এবং লক্ষী দু’ই দেবী আলাদা। আবার কারও বিশ্বাস দু’ই দেবী আসলে একই।