নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ কালীপুজো। দিকে দিকে শুরু হয়েছে মা কালীর আরধনা। তাই সকাল থেকেই দক্ষিণেশ্বরে ভবতারিণী মায়ের মন্দিরে পড়েছে লম্বা লাইন। প্রতিবছরের মত এবছরের ও ভক্তদের লম্বা লাইন। এ দিন ভোর থেকেই মন্দির চত্বরের বাইরের অংশের চাkal;তাল থেকে বালি ব্রিজ পর্যন্ত সর্বত্র ভক্তদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে পূর্ণ মাত্রায়। ভোর সাড়ে ৫টায় খুলে গিয়েছে মন্দিরের দরজা। এরপর বিশেষ আরতির বন্দোবস্ত ছিল। তারপর থেকে শুরু ভবতারিণী মায়ের পুজো।
আজ কালীপুজোর সন্ধেয় মন্দিরে সন্ধ্যারতি ও বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। শ্রীরামকৃষ্ণ-মা সরদার স্মৃতি বিজড়িত এই মন্দিরে কালীপুজোর দিন বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। কালীপুজোর দিন মাকে অতিসাধারণ ভোগ নিবেদন করা হয়ে থাকে। ভোগে নিবেদন করা হয় সাদাভাত, ঘি, পাঁচরকমের ভাজা, শুক্তো, তরকারি, পাঁচ রকমের মাছের পদ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি। তবে এখানে কারণবারির (মদ) বদলে ডাবের জল দিয়েই মায়ের পুজো হয়। প্রসঙ্গত, দক্ষিণেশ্বরের মায়ের মন্দির ১৮৫৫ সালে রানি রাসমণি প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকে রামকৃষ্ণদেবের সাধনস্থলে পরিণত হয় এই মন্দির। রামকৃষ্ণের সাধক সত্ত্বা এখানে পরিপূর্ণতা লাভ করে ।
কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথির গভীর রাতে যোগিনী পরিবৃতা হয়ে আবির্ভূতা হন মা কালী৷ জগতে কল্যাণ এবং শান্তি স্থাপনের জন্য ভক্তরা দেবীর আরাধনা করেন৷ দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে শাক্ত, বৈষ্ণব ও শৈব, তিন ধারার পুজোই এক সঙ্গে ঘটে, যা আর কোথাও দেখা যায় না। এই ত্রিবেণী সঙ্গম ঘিরে আজও একই প্রাঙ্গণে দেবী কালীর পুজো হয়ে শাক্ত মতে, বৈষ্ণব মতে রাধাকৃষ্ণের পুজো। আর ১২ টি শিবমন্দিরে হয় শৈব ধারার শিব আরাধনা। চলতি বছরের এই মন্দিরের কালীপুজো ১৬৯ বছরে পদার্পণ করেছে।