নিজস্ব প্রতিনিধি, হায়দরাবাদ: প্লে অফে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখার ম্যাচে বড় রানের ইনিংস গড়তে পারল না লখনউ সুপার জায়ান্টস। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তুলতে সক্ষম হয়েছেন লোকেশ রাহুলরা। শেষের দিকে নিকোলাস পুরান ও আয়ুষ বাদোনি জুটি বেঁধে ৯৯ রান যোগ না করলে লখনউ ১৫০ রানের গণ্ডি পেরোত কিনা তা নিয়ে যথেষ্টই সংশয় ছিল। হায়দরাবাদের পক্ষে ভুবনেশ্বর কুমার চার ওভারে ১২ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন।
বুধবার রাতে হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধি স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লখনউ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। কিন্তু তাঁর ওই সিদ্ধান্ত কার্যত ব্যুমেরাং হয়ে যায়। মন্থর গতিতে রান তুলতে থাকেন লখনউয়ের দু্ই গোড়াপত্তনকারী ব্যাটার। সেই সঙ্গে শুরুতেই হোঁচট খায় লখনউ। তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন কুইন্টন ডি’কক (২)। আর পঞ্চম ওভারে মার্কাস স্টোইনিস (৩)। এর পরে তৃতীয় উইকেটে ক্রুণাল পাণ্ড্যর সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালান রাহুল। কিন্তু ভুবনেশ্বর কুমার-শাহবাজ আহমেদদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানের গতি অনেকটাই শ্লথ হয়ে যায়। ১০ ওভারের শেষ বলে সাজঘরে ফিরে যান রাহুল (৩৩ বলে ২৯)। ১০ ওভার শেষে তিন উইকেট হারিয়ে লখনউয়ের রান দাঁড়ায় ৫৭। খানিকবাদে অযথা রান নিতে গিয়ে উইকেট বিসর্জন দিয়ে ফেরেন ক্রুণাল পাণ্ড্য (২১ বলে ২৪)।
৬৬ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা লখনউকে টেনে তোলার চেষ্টা চালান নিকোলাস পুরান ও আয়োস বাদানি। পঞ্চম উইকেটে জুটি বেঁধে দুজনে হায়দরাবাদের বোলারদের আক্রমণ সামলে রান রেট বাড়ানোর দিকে মন দেন। ৩০ বলে ৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। শেষের দিকে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করেন বাদোনি। ১৮ তম ওভারে টি নটরাজনের বলে সিঙ্গল নিয়ে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তরুণ ব্যাটার। অর্ধশতরান পূর্ণ করতে ২৮ বলে খেলেছেন বাদোনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তোলে লখনউ। বাদোনি ৫৫ এবং পুরান ৪৮ রানে অপরাজিত থেকে যান।