নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ২৪ অক্টোবর কালীপুজো (KALI PUJA)। এই দিনটিকে দীপান্বিতা বা দীপাবলিও বলা হয়। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যার দিনে এই উৎসব আলোর। জেনে নিন পুজোর তিথি কখন পড়েছে।
আগামী ২৪ অক্টোবর, সোমবার পুজো। অমাবস্যার সময় হয় দেবী কালিকার আরাধনা। এই বছরে অমাবস্যা তিথি পড়েছে ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যে ৪টা ৫৭ মিনিট থেকে। তিথি থাকবে ২৫ অক্টোবর ভোর ৪টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত। এই বছরে কালীপুজোর অমৃত যোগ পড়েছে সকাল ৭টা ২০ মিনিট থেকে রাত্রি ৩টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত।
কালীপুজোর দিনে দেবীর বিভিন্ন রূপের পুজো করা হয়। কোথাও দেবী কালো আবার কোথাও তিনি শ্যামা। এই সময়ে শ্মশানে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। গভীর রাতে চলে যজ্ঞ। পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে খাবার এবং জল নিবেদন করা হয় শ্মশানে। উল্লেখ্য, বেশির ভাগ বিগ্রহ ‘দক্ষিণা কালী’ হিসেবে পূজিতা। শিবের বুকে দেবীর ডান পা আগে থাকলে তাঁকে দক্ষিণা কালী বলা হয়। আর বাম পা আগে থাকলে তিনি বামা।
উল্লেখ্য, মহাকালিকা (KALI)। যিনি সৃষ্টির আদি, সমস্ত সৃষ্টের জননী। জানেন তিনি কে? কেন শিবের জন্মদাত্রী? কী করেই বা স্ত্রী হলেন? বিশ্ব ব্রম্ভাণ্ডের সূচনালগ্নে অন্ধকারময় জগৎ সংসার থেকে বেরিয়ে এসেছিল উজ্জ্বল আলোক শিখা। আত্মপ্রকাশ করেছিলেন আদ্যা শক্তি পুরাতনী। সৃষ্টি করেছিলেন মহাকাল!
মহাকাল শক্তি সৃষ্টি করার পরে তাঁকে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর- তিন রূপ দিয়েছিলেন দেবী। সৃষ্টি করেছিলেন কারণ সাগর। ত্রিদেবকে সাধনায় বসার বিধান দিয়েছিলেন আদ্যা শক্তি। দেবগণ যখন কারণ সাগরে সাধনায় মগ্ন, তখন তাঁদের সামনে ভেসে আসে শব দেহ। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ঘৃণায় সরিয়ে নিলেন মুখ। যোগী দেবাদিদেব জ্ঞানচক্ষুতে দেখতে পেয়েছিলেন, এই শব দেহ আসলে মহাশক্তি কালিকা। ধারণ করলেন বক্ষে। তারপর মহাকালী যোগী শ্রেষ্ঠকে বলেছিলেন, তিনিই মহাকালীর পূর্ণ শক্তি ধারণে সক্ষম। প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সহধর্মিনী রূপে বরণের। দেবাদিদেব বলেছিলেন, তিনি ধন্য কিন্তু এই আদ্যা শক্তি থেকেই তাঁর জন্ম। জননীকে কী ভাবে স্ত্রী হিসেবে বরণ করবেন?! মহামায়ার প্রত্যুত্তর ছিল, ব্রহ্মার মানস পুত্র দক্ষের কন্যা সতী রূপে জন্ম গ্রহণ করবেন তিনি।