নিজস্ব প্রতিনিধি: ভার্চুয়াল জগত কেড়ে নিচ্ছে শৈশব। এখনকার শৈশব বড় মেকি। শিশুদেরকে মাটির টান শেখাতে উদ্যোগী হল স্কুল। শিক্ষক দিবসে অভিনব ভূমিকা গ্রহণ করলেন জাতির মেরুদণ্ডরা। প্রয়াস রাজারহাটে একটি ইংরেজি মাধ্যম প্রাথমিক স্কুলের (PRIMARY SCHOOL)।
শিক্ষক-শিক্ষিকা মানে বন্ধু- জীবনের দর্শনদানকারী- পথপ্রদর্শক। তাই প্রথাগত পাঠদান ছাড়াও মানুষের জীবনে তাঁদের ভূমিকা অপরিসীম। শিশু থেকেই একদিন সকলে হয়ে উঠবে আগামী। তাই কচিকাঁচাদের মাটির টান শেখালেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
গত সোমবার ১০ কচিকাঁচাকে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ওই স্কুলের ১৫ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। ক্ষুদেদের দেখিয়েছিলেন পটুয়াপাড়ার আমেজ। সকলে মিলে হাজির হয়েছিলেন শিল্পী মিন্টু পালের স্টুডিওতে। কম্পিউটার-ল্যাপটপ-টিভি-মোবাইল-ট্যাবে আটকে থাকা ক্ষুদে চোখগুলোতে ফুটে উঠেছিল বিস্ময়। দেখা গিয়েছিল উৎসাহ। বিদ্যালয়ের উদ্যোগ ছিল শিশুরা ছুঁয়ে দেখবে মাটি। তৈরি করবে প্রতিমা। সেই ভাবেই কেউ প্রতিমায় লাগাল মাটির প্রলেপ। আবার কেউ তৈরি করল প্রতিমার আঙুল। উৎসাহিত ক্ষুদে শিল্পীদের গাইড করলেন শিল্পী মিন্টু।
বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জীবনের অন্য পাঠ দিতেই এই উদ্যোগ। বলা হয়েছে, ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো। ভার্চুয়াল জগত থেকে বেরিয়ে এখানের জল- মাটি মাখুক সমাজের আগামীরা।