এই মুহূর্তে

আজ মহাষ্টমী, জেনে নিন পুজোর খুঁটিনাটি…

নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ মহাঅষ্টমী। এই দিনের গুরুত্ব, কী ভাবে হয় পুজো বা এই দিনে পুষ্পাঞ্জলির গুরুত্ব কী জেনে নিন। অষ্টমী উৎসব দুর্গা পুজোর (DURGA PUJA) (নবদুর্গা) অষ্টম দিনটিকে চিহ্নিত করে। এই দিনে দেবীকে মহাগৌরী রূপে পুজো করা হয়।

পুরাণ অনুযায়ী, দুর্গা অষ্টমীর দিনে বিভিন্ন অস্ত্র, রত্নহার এবং পদ্মমালা দিয়ে দেবীকে সাজিয়ে তুলেছিলেন দেবতারা। মহাষ্টমী তিথিতে দেবী বধ করেছিলেন মহিষাসুরকে। তাই এই দিনেই পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার গুরুত্ব বেশি। কারণ, এই পুজো যে মহিষাসুরমর্দিনী’র। আর রীতি মেনে অন্যান্য দিনের মতোই হয় বিহীত পুজো। 

এই দিনে করা হয় কুমারী পুজোও। উল্লেখ্য, স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে প্রথম প্রচলন করেছিলেন কুমারী পুজোর। সালটা ছিল ১৯০১। বেলুড় মঠে মহা অষ্টমী তিথিতে কুমারী পুজো হলেও এই পুজো (PUJA) করা যায় মহা অষ্টমী ও মহানবমী- যে কোনও দিনই। ১ থেকে ১৬ বছরের কন্যাদের কুমারীপুজো করা হয়ে থাকে। শাস্ত্রে আছে, কোলাসুর যখন স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল জুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে তখন দেব ও ঋষিকুল দেবী কালী’র শরণাপন্ন হয়েছিলেন। দেবী কুমারী রূপ ধারণ করে বধ করেছিলেন অসুরকে। সেই কারণেই কুমারী পুজো। প্রাচীনকাল থেকে প্রকৃতিকে ‘মা’ মনে করা হয়। উপাসনা করা হত প্রকৃতির। বিশ্বাস, প্রকৃতিই মহামায়া। তাই কুমারীকে দেবী জ্ঞানে আরাধনা করা হয়। উপাসনা করা হয় নিষ্পাপ, সৎ-এর। মানবজীবনের কলুষতা যাদের মধ্যে প্রবেশ করেনি তাদের দেবী রূপে আরাধনা করা হয়। ঋতুমতী হয়নি এমন কন্যাকে নতুন বস্ত্র, অলঙ্কার, মুকুট ও তিলক, আলতা, মালা পরিয়ে পুজো করা হয় দেবী জ্ঞানে। হাতে থাকে পদ্ম।

১ বছরের কুমারীকে ‘সন্ধ্যা’ নামে আরাধনা করা হয়। ২ বছর হলে কুমারী আরাধ্যা হয় ‘সরস্বতী’ নামে। ‘ত্রিধা’ বলা হয় ৩ বছর বয়সী হলে। ৪ বছর হলে কুমারী আরাধ্যা কালিকা নামে। ‘সুভগা’ নামে উপাসনা করা হয় ৫ বছর হলে। ‘উমা’ নামে কুমারীর উপাসনা হয় ৬ বছর বয়সীদের। ৭ বছর হলে কুমারী আরাধ্যা ‘মালিনী’ নামে। ‘কুব্জিকা’ নামে কুমারী উপাস্য ৮ বছর হয়ে থাকলে। ৯ বছর হলে কুমারী ‘কালসন্দর্ভা’। ‘অপরাজিতা’ নামে পুজো করা হয় ১০ বছরের কুমারীকে। ১১ বছরের কুমারী পূজিতা ‘রুদ্রাণী’ রূপে। ‘ভৈরবী’ রূপে পূজিতা হন ১২ বছরের কুমারী। ১৩ বছরের কুমারী ‘মহালক্ষ্মী’। ‘পীঠনায়িকা’ ১৪ বছরের কুমারী। ‘ক্ষেত্রজ্ঞা’ ১৫ বছরের কুমারী। ১৬ বছর বয়সী কুমারীর উপাসনা করা হয় ‘অম্বিকা’ নামে।

কালিকা, উমা, অপরাজিতা, রুদ্রাণী, ভৈরবী, অম্বিকা সহ একাধিক নাম না হয় দেবী দুর্গার রূপের নাম। কিন্তু সরস্বতী ও লক্ষ্মী তো  দুর্গা’র কন্যা। তবে কেন কুমারী রূপে দেবী দুর্গার আরাধনা করা হলে তাঁদের নামে পুজো?  পুরাণ অনুসারে, মহালক্ষ্মী এবং মহা সরস্বতীও আদ্যাশক্তির অংশ, তাঁরই রূপ। কেউ বলেন তিনি এক। কেউ বলেন তিনি নিরাকার। তিনিই আদি-অন্ত ও ধারক। তিনিই স্রষ্টা, তিনিই বিনাশিনী।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শাশুড়ি-বউমার সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?

গন ভাইফোঁটার পরিকল্পনা নিয়েছে বসিরহাটের ‘নবোদয় সংঘ’

বনগাঁ থানার এবারের কালীপুজোর থিম ‘ কৈলাস পর্বতে মহাদেব’

বাঁকুড়ার সাঁতরা বাড়ির “বড় বৌমা” পূজিত হলেন মা কালীর রূপে

নৈহাটির বড়মার পুজোয় ভক্তদের ভিড়

তারাপীঠে সারারাত খোলা থাকছে গর্ভ গৃহের দরজা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর