এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

পরিবারে করোনার হানা? শিশুদের কী করবেন জেনে নিন

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে কার্যত করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। এই সময় আবার অনেকেই উপসর্গহীন, তাই বোঝাই যাচ্ছে না তিনি করোনায় আক্রান্ত কিনা। কিন্তু করোনার এই তৃতীয় ঢেউয়ে দেশে সামগ্রিক সংক্রমণের হারই বেশি। তারই মধ্যে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাও কিছু কম নয়। তাই চিন্তার ভাঁজ সকলের কপালে। এখন প্রশ্ন হল, পরিবারের একজন বা একাধিক ব্যক্তি যদি করোনা আক্রান্ত হন, তবে শিশুদের নিয়ে কী করবেন? শিশুদের কখন করোনা পরীক্ষা করাবেন? আসুন জেনে নেওয়া যাক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কি বলছেন।

আশার কথা এটাই যে করোনা আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে অসুস্থতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভয়াবহ জায়গায় যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বক্তব্য, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুরা ২ থেকে ৩ দিনে সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। আক্রান্ত শিশুদের
উপসর্গ থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে।

কী কী উপসর্গ দেখা যায় শিশুদের ক্ষেত্রে?

সাধারণত জ্বর, সর্দি, কাশির মতো ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। আবার অনেকক্ষেত্রে গা হাত পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। শিশুদের এই ধরনের উপসর্গ থাকলেই ইদানীং করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। অন্যদিকে, সদ্যোজাতদের ক্ষেত্রে জ্বর তো আসছেই উপরন্তু ক্রমাগত কান্নাকাটি করছে তাঁরা। জ্বর ১০২ বা ১০৪ ডিগ্রি অবধি যেতে পারে, তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

শিশুদের ক্ষেত্রে কী কী করবেন?

উপসর্গ থাকলে প্রথমে Rapid Antigen Test করাতে পারেন। এই কিট ওষুধের দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। পজিটিভ এলে আইসোলেশনে যেতে হবে। আর নেগেটিভ এলে RT-PCR পরীক্ষা করাতে হবে। পজিটিভ এলে মোটেই ভয় পাবেন না। চিকিত্‍সকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ দিতে হবে। জ্বর নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না, মাঝেমধ্যে আরাম দেওয়ার জন্য একটু গা স্পাঞ্জ করিয়ে দিতে পারেন। বমি ও পায়খানা বেশি হলে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ডিহাইড্রেশন এড়াতে ওআরএস দিতে হবে নিয়মিত।

একদম ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রে নাক বন্ধ হলে, ন্যাজাল স্যালাইন ওয়াটার দিন। আর একটু বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পিডিয়াট্রিক ন্যাজাল ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। অযথা ভিটামিন খাওয়াবেন না কারণ কোভিড কিন্তু ভিটামিন খাইয়ে আটকানো যায় না। মনে রাখবেন, শিশুদের উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই করোনা পরীক্ষা করতে হবে। কারণ শিশুদের কোভিড পরবর্তী কিছু জটিলতা দেখা যায়। চিকিৎসকদের পরিভাষায় যাকে Multisystem inflammatory syndrome in children (MIS-C) বলে। কোভিড পজিটিভ হলে চিকিৎসকরা সেইমতো চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন। সব শেষে বলে রাখি, পরিবারের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে শিশুদের তাঁর থেকে দূরে রাখুন। তবে যে শিশু মায়ের দুধ খায়, তাঁকে মায়ের কাছেই রাখবেন। স্তন্যপান করবেন, কোনও ভয় নেই।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভুলেও ৬ টি খাবার পুনরায় গরম করবেন না! ‘বিষাক্ত’ হয়ে যায়!

সারাদিন ফোন নয়তো ল্যাপটপ? ‘টেক নেক’ রোগ বাসা বাঁধে নি তো!

জেনে নিন মোহিনী একাদশী কেন পালন করা হয়?

সীতা নবমীতে কী করলে রোজগার হবে দ্বিগুণ! জেনে নিন উপায়

গরমে উপভোগ করুন পাতিলেবুর বাহারি পদ

মোহিনী একাদশী কবে! জেনে নিন শুভ যোগ, তিথি ও তারিখ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর