নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বিশ্বজুড়ে নতুন করে খেলা দেখাচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এই ওমিক্রনের জেরেই আরও একবার অচল হয়েছে চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একাধিক দেশ। করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে চিনে ফের শুরু হয়েছে নতুন করে লকডাউন। গৃহবন্দী হয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। এর জেরে সমগ্র বিশ্বজুড়ে নতুন করে আতঙ্কের সঞ্চার করেছে করোনা। কিন্তু বিশ্বজুড়ে যখন করোনার এমন বাড়বাড়ন্ত, ঠিক তখনই আমাদের দেশের করোনা পরিস্থিতি কিন্তু অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। চলতি মাসের প্রথম থেকেই দেশের দৈনিক সংক্রমণ দুই হাজারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করেছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমবেশি হলেও সেটা কখনই দুই হাজার পার করেনি। শুক্রবারও বজায় থাকল সেই রেকর্ড। জানা যাচ্ছে, গত একদিনে দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৮৫ জন। আগের দিনের থেকে ফের কিছুটা কমেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
অন্যদিকে সংক্রমণ কমলেও বেড়েছে মৃত্যু। শুক্র সকালে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের করোনা বুলেটিন জানাচ্ছে, গত একদিনে দেশে করোনার বলি হয়েছেন ৮৩ জন। আগের দিনের থেকে ফের কিছুটা বেড়েছে মৃত্যু। মৃতদের মধ্যে কেরলের বাসিন্দা রয়েছেন ৭৪ জন। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে গত একদিনে মহারাষ্ট্রে করোনার বলি হয়েছেন ৩ জন এবং কর্ণাটকে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। পাশাপাশি দিল্লি, ওড়িশা, মিজোরাম এবং মেঘালয়তেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন করে মারা গিয়েছেন।
অন্যদিকে এদিন করোনামুক্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৪৯৯ জন। প্রতিদিনের ধারা বজায় রেখে ফের কিছুটা কমেছে করোনার অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। কেন্দ্রের হিসাব বলছে এই মুহূর্তে দেশে করোনার অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২১ হাজার ৫৩০। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৮৯৭।