নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গত দুই লকডাউনে বিনোদন জগত একেবারেই ধরাশায়ী। আবার ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কিন্তু আবারও যে অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হবেন শিল্পীরা সে কথা বলাই বাহুল্য। কারণ একটাই নতুন করে করোনার থাবা। এমতাবস্থায় আবারও আতঙ্কে পড়েছে গোটা বাংলা টেলিভিশন দুনিয়া। বহু মানুষের রুটিরুজি জড়িয়ে থাকে এক একটি সিরিয়ালের সঙ্গে। দীর্ঘ দুই লকডাউনের পর একটু একটু করে যেন ছন্দে ফিরছিলেন সকলেই। আর এর মধ্যেই এল তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা। যার জেরে রীতিমত প্রমাদ গুনছেন টেলিপাড়ার সকলে। হাতে রয়েছে মাত্র কয়েকটি এপিসোডের ব্যাঙ্কিং। কখন কে কীভাবে আক্রান্ত হবেন তা বোঝাও মুশকিল। কেউ আক্রান্ত হলে তিনি আইসোলেশনে গেলে তার কাজ কিভাবে করা হবে এই নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন গোটা বাংলা টেলিদুনিয়া।
বিধিনিষেধ মানার পাশাপাশি রয়েছে চরিত্রের জন্য মেকআপ। তা মেন্টেন করার পাশাপাশি বারবার স্যনিটাইজ করা , টয়লেটে না যেতে পারার মত সমস্যাও রয়েছে। কেউ কারোও কাছে আসতেই ভয় পাচ্ছে। শুধু তাই নয় বলা ভালো এক প্রকার প্রাণ হাতে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে কাজ করছেন টেলি তারকারা। তাঁদের মত স্টুডিয়োতে ঢোকা থেকে শুটিং সারা , নানা বিধিনিষেধ মেনে চলা, খাবার খাওয়া সবকিছুতে আবারও এতটাই পরিবর্তন এসেছে যে সেসব কিছু মেনে দীর্ঘক্ষণ শুটিং চালিয়ে যাওয়া একপ্রকার অসম্ভব বিষয়। তাতে করোনা না হলেও তাঁরা যে অন্য রোগে আক্রান্ত হবেন এমন ভীতি প্রকাশ করেছেন তাঁরা। এই অবস্থায় তাঁরা ফেডারেশন বা আর্টিস্ট ফোরামের মধ্যস্থতা চাইছেন। যাতে এই সমস্যার খানিক সুরাহা হয়।
এর মধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বাংলা টেলিভিশন দুনিয়ার এক জনপ্রিয় পরিচালক তথা প্রযোজক সুশান্ত দাস। বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। বিধান নগরের নলবনে টানা শ্যুট চলছিল তাঁর নতুন ধারাবাহিকের। ওই সময়েই প্রচণ্ড ঠান্ডা লেগেছি তাঁর। ৩১ ডিসেম্বর জ্বরও আসে। প্রথমে ঠান্ডা লেগেছে মন করলেও পরবর্তীকালে জ্বর না কমায় সব রকমের পরীক্ষা করান তিনি। রিপোর্ট হাত আসতেই জানা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত। তার পরেই নিজের বাড়িতেই নিভৃতবাসে রয়েছেন পরিচালক-প্রযোজক। এখনও জ্বর রয়েছে প্রায় ১০১ ডিগ্রি।