নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় বিধি-নিষেধ অনেকটাই শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। একের পর এক রাজ্যও বিধি-নিষেধ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই অশনিসঙ্কেত। দেশে করোনার ওমিক্রন প্রজাতির চেয়ে ১০ গুণ শক্তিশালী এক্সই প্রজাতি শনাক্ত হওয়ার পরেই চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এমতাবস্থায় করোনার দৈনিক সংক্রমণ আচমকা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় পাঁচ রাজ্যকে সতর্ক করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ দিল্লি, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, কেরল ও মিজোরামের স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়ে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উপরে কড়া নজর রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। সংক্রমণ লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী হলে ফের নতুন করে কড়া বিধি-নিষেধ আরোপেরও পথে হাঁটারও পরামর্শ দিয়েছেন। মারণ ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নমুনা পরীক্ষা সহ আগেকার পাঁচ পদ্ধতি অনুসরণ করারও সুপারিশ করেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহে কেরলে করোনায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৩২১ জন। দেশে এক সপ্তাহে মোট সংক্রমিতদের এক তৃতীয়াংশই দক্ষিণের রাজ্যটির বাসিন্দা। শুধু তাই নয় সাপ্তাহিক শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ দশমিক ৫৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, আগামী রবিবার থেকে দেশজুড়ে বেসরকারি কেন্দ্রগুলিতে করোনার বুস্টার ডোজ দেওয়ার কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। ওই কর্মসূচি যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায় তার জন্য আগামিকাল শনিবার বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব।