আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ চিনে গত এক মাস ধরেই তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাসের বিএফ.৭ উপরূপ। ছারখার করে দিচ্ছে একের পর এক শহর-গ্রাম। হাসপাতালগুলিতে করোনা আক্রান্তদের ভিড় এতটাই উপচে পড়েছে যে চিকিৎসক আর স্বাস্থ্যকর্মীরা অসহায় হয়ে পড়ছেন। চিন সরকার মারণ ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা নিয়ে সঠিক পরিসংখ্যান দিচ্ছে না বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। আর তার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে একটি গবেষণায়। চিনেরই পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, গত ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ৯০ কোটি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশের ৬৪ শতাংশ মানুষের শরীরে মারণ ভাইরাস থাবা বসিয়েছে। পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।
গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম শনাক্ত হয় করোনাভাইরাসের। তার পরে গোটা বিশ্বেই থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস। শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের দেওয়া সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭ কোটির গণ্ডি ছাড়িয়েছে। যদিও চিন সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে মাত্র ৫ লক্ষ তিন হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে চিন সরকারের ওই দাবি খারিজ করে দিয়েছে পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা। দেশের কোন অঞ্চলে করোনার সংক্রমণ বেশি, তার একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে গবেষণা পত্রে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গানসু প্রদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। সেখানে সংক্রমণের হার ৯১ শতাংশ। ইউনান প্রদেশে ৮৪ ও কিনঘাই প্রদেশে ৮০ শতাংশ মানুষ মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে সম্প্রতি সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন চিনের রোগতত্ত্ববিদ জেং গুয়াং। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, লুনার নিউ ইয়ারে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। কেননা অনেকেই ওই সময়ে নিজের বাড়ি ও পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ঘুরতে যান।