নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্রমশই কোভিড-মুক্ত হচ্ছে বাংলা। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনার সংক্রমণ যেমন আগের দিনের চেয়ে নিম্নমুখী, তেমনই মারণ ভাইরাসের ছোবলে কারও মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে টানা দু’দিন রাজ্যে থমকে দাঁড়াল করোনার মৃত্যুমিছিল। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৩৯ জন। স্বস্তি দিয়ে সংক্রমণ হারও আগের দিনের তুলনায় কমে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশে। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণে অবশ্য কলকাতাকে টপকে শীর্ষে উঠে এসেছে উত্তর ২৪ পরগনা।
দীর্ঘ এক বছর বাদে গতকাল বুধবারই রাজ্যে থমকে দাঁড়িয়েছিল করোনার মৃত্যুমিছিল। মারণ ভাইরাসের ছোবলে একজনও প্রাণ হারাননি। ওই পরিসংখ্যানে যথেষ্টই স্বস্তি পেয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। দৈনিক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পরে মৃত্যুমিছিল থমকে দাঁড়ানোয় আশার আলো দেখছিলেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের তুলনায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে। নতুন করে আরও ২৫ হাজার ৫৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশে। যার ফলে ১৩৯ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লাখ ১৫ হাজার ৫৪৫ জনে। মৃতের সংখ্যা অবশ্য ২১ হাজার ১৭৮ জনেই থমকে রয়েছে।’
দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতাকে টপকে শীর্ষে উঠে এসেছে উত্তর ২৪ পরগনা। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন। কলকাতা মহানগরীতে আরও ২০ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবে স্বস্তির খবর কালিম্পংয়ে গত ২৪ ঘন্টায় একজনও আক্রান্ত হননি।
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘ক্রমশই করোনার করাল থাবা থেকে মুক্ত হচ্ছে রাজ্য। গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে নতুন করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫৮ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনাকে জয় করলেন ১৯ লাখ ৯২ হাজার ৫৯১ জন। সুস্থতার হার অবশ্য ৯৮ দশমিক ৮৬ শতাংশেই রয়েছে। একদিনে অ্যাকটিভ কেস কমেছে ১৯টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৭৬ জনে।’