-273ºc,
Friday, 9th June, 2023 3:12 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের প্রকল্প ‘প্রজেক্ট চিতার’ ভবিষ্যত বড়সড় প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার কুনোর জাতীয় উদ্যানে আরও দুই চিতা শাবকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত তিনদিনের মধ্যে তিনটি চিতা শাবকের মৃত্যু হলো। গত মার্চ মাসেই চারটি চিতা শাবকের জন্ম দিয়েছিল নামবিয়া থেকে আনা স্ত্রী চিতা ‘জ্বালা’। একের পর এক চিতার মৃত্যুর ফলে কুনো জাতীয় উদ্যানের দায়িত্বে থাকা বন আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের প্রকল্প ‘প্রজেক্ট চিতা’র অংশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়া থেকে ২০টি চিতা আনা হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কুনো অভয়ারণ্যে। গত মার্চে নামবিয়া থেকে আনা স্ত্রী চিতা ‘জ্বালা’ চারটি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। ফলে চিতার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২৪। কিন্তু গত মার্চ মাসের শেষের দিকেই চিতার মৃত্যুমিছিল শুরু হয়। ২৭ মার্চ কিডনিতে সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছিল নামিবিয়া থেকে আনা পাঁচ বছর বয়সী স্ত্রী চিতা শাসার। আর তার এক মাস যেতে না যেতে গত ২৪ এপ্রিল মারা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা পুরুষ চিতা উদয়। পুরুষ চিতাটির মৃত্যুর কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, ‘কার্ডিয়ো পালমোনারি ফেলিওর’-কে। গত ৯ মে মৃত্যু হয় দক্ষ নামে আরও এক চিতার। যৌন মিলনের জন্য এক নম্বর খাঁচা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল দক্ষকে। আর সাত নম্বর খাঁচা থেকে বায়ু ও অগ্নি নামে দুই পুরুষ চিতাকে ছাড়া হয়েছিল। কিন্তু আচমকাই হিংস্র হয়ে দক্ষকে আক্রমণ করে দুই পুরুষ চিতা। গুরুতর জখম হয় দক্ষ। কিন্তু চিকিৎসকরা চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি। দক্ষের মৃত্যুর ১৫ দিন যেতে না যেতেই গত মঙ্গলবার এক চিতা শাবকের মৃত্যু হয়।
মাত্র দু’মাস বয়সী চিতাশাবকের মৃত্যুর পিছনে অপুষ্টিকে দায়ী করেছিলেন কুনো জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার ৪৮ ঘন্টা যেতে না যেতে ফের ২টি শাবকের মৃত্যু বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বন আধিকারিক দুই চিতা শাবকের মৃত্যুর কারণ বলতে পারেননি। কিন্তু মৃত্যুমিছিলের সারি যেভাবে লম্বা হচ্ছে তা যথেষ্টই চিন্তার কারণ বলে মনে করছেন বিসেষজ্ঞরা।