নিজস্ব প্রতিনিধি, বালেশ্বর: ওড়িশার বালেশ্বরে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পিছনে জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার রেলের তিন কর্মীকে গ্রেফতার করল সিবিআই। ধৃতরা হলেন সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার (সিগন্যাল)) অরুণ কুমার মহান্ত, সেকশন ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ আমির খান ও টেকনিশিয়ান পাপ্পু কুমার। ধৃত তিন রেলকর্মীর বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ লোপাট, খুনের চেষ্টা ও অন্তর্ঘাতের অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
গত ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল চেন্নাইগামী আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস, ডাউন বেঙ্গালুরু–হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ২৯৩ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেরই শতাধিক বাসিন্দা প্রাণ হারিয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন এক হাজারের বেশি যাত্রী। ২৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, সিগন্যালের ত্রুটিতেই এমন দুর্ঘটনা হয়েছে। কিন্তু পরে রেলের তরফেও অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়।
উদ্ধারকার্য শেষ হওয়ার পরেই আচমকা দুর্ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করানোর সিদ্ধান্ত নেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যদিও রেল দুর্ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তদন্তের দায়িত্বভার পাওয়ার পরেই দুর্ঘটনাস্থলের পাশাপাশি সিগন্যাল রুমও ঘুরে দেখেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে নেমে সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার (সিগন্যাল)) অরুণ কুমার মহান্ত, সেকশন ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ আমির খান ও টেকনিশিয়ান পাপ্পু কুমারের সন্দেহজনক ভূমিকার প্রমাণ পান তদন্তকারীরা। তিন জনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে।