নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পৈশাচিক ঘটনা। অমানবিক বাস্তবতা দেখিয়েছে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়ন শহরের নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা। ১২ বছরের নাবালিকা রক্তাক্ত অর্ধনগ্ন অবস্থায় দ্বারে দ্বারে সাহায্যের ভিক্ষা চেয়েছে। অথচ তথাকথিত শিক্ষিত ভদ্র সমাজ এগিয়ে আসেনি। এই ঘটনায় এবার এক অটো চালককে গ্রেফতার করল পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা নাবালিকা খেরি এলাকায় একটি অটোতে উঠেছিল। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অটো চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অটোয় রক্তের দাগ মিলেছে। ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় পুলিশের জালে ৪। ধৃত অটো চালকের নাম রাকেশ(৩৮)। বাকি ধৃতদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশ ৮ কিলোমিটার রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে। দোষীদের গ্রেফতারের জন্য বিশেষ এক দল গঠন করে উজ্জয়নের পুলিশ।
১২ বছর বয়সী নাবালিকা রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটি সাহায্যের আবেদন করে। আব্রু ঢাকতে সম্বল ছিল শুধু ছেঁড়া একটি কাপড়ের টুকরো। নাবালিকা প্রায় ৮ কিমি হেঁটে দরজায় দরজায় সাহায্য প্রার্থনা করেছে। অবশেষে স্থানীয় এক পুরোহিত এগিয়ে আসেন। উজ্জয়ন থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে বদনগর রোডে একটি আশ্রমের সঙ্গে যুক্ত ওই পুরোহিত রাহুল শর্মা। পুরোহিত বলেন, “ সোমবার সকাল ৯.৩০টার সময় ওকে যখন প্রথম দেখি, তখন খুবই খারাপ অবস্থায় ছিল। তাঁকে জামাকাপড় দিই। মেয়েটি যখন সাহায্যের জন্য ঘুরছিল অন্যরা তাঁকে আরও হেনস্তা করছিল। মেয়েটি কথা বলার মতো অবস্থায় ছিল না। দুচোখ দিয়ে ঝরঝর করে জল পড়ছিল”।
ওই পুরোহিত আরও জানান যে, নাবালিকার নাম ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত জিজ্ঞেস করেন। যখনই অন্য কেউ তাঁর কাছে আসছিল মেয়েটি ভয়ে লুকোনোর চেষ্টা করছিল। শেষে মহাকাল থানায় যোগাযোগ করে ঘটনা সম্পর্কে পুলিশকে জানান। তারপর পুলিশ নাবালিকাকে নিয়ে যায়।
বর্তমানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের একটি দল নাবালিকার শারীরিক পরিস্থিতির প্রতি নজর রেখেছেন। তাঁর অবস্থা সংকটজনক হলেও স্থিতিশীল।