নিজস্ব প্রতিনিধি, গাজিয়াবাদ: স্বামীর নিত্য কাজকর্মের মধ্যে ছিল বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে সন্তানদের সামনে বেল্ট দিয়ে মারা। দিনের পর দিন চোখের সামনে এই অত্যাচার দেখতে দেখতে বড় মেয়ে ঠিক করে বাবাকে খুন করে দেবে।
গত রবিবার বাবা বাড়ি ফিরে অভ্যাস মতো মাকে বেল্ট দিয়ে মারতে থাকে। রাতে বাবা যখন ঘুমিয়ে বড় মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তা থেকে আস্ত একটা পাথরের চাঁই তুলে নিয়ে আসে। ঘুমন্ত অবস্থায় বাবার মাথায় সেই পাথল দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। বিছানাতেই মৃত্যু হয় বাবার। পরে সে দেহ কাঁধে করে গাড়ি খুলে সিটে ফেলে রাখে।
ভোররাতে দিকে টহলদারি পুলিশের চোখে পড়ে রাস্তার ধারে একটি দাঁড় করিয়ে থাকা একটি গাড়ির দরজা হাল্কা করে খোলা।সন্দেহ হওয়ায় তারা দরজা খুলে দেখে এক ব্যক্তির মাথা থেঁৎলে গিয়েছে। পুলিশ দেহটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করে।
মৃতের পরিচয় জানার পর পুলিশ খুনির সন্ধান শুরু করে। পৌঁছে যায় মৃতের বাড়ি। বাড়ি গিয়ে দেখে মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত। রক্ত সিঁড়িতেই। সন্দেহ হওয়ায় তারা ভদ্রলোকের স্ত্রী এবং তাঁর বড় মেয়েকে গ্রেফতার করে। জেরায় বড় মেয়ে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। কী কারণে বাবাকে খুন করেছে সেটাও সে পুলিশকে জানিয়েছে। পুলিশ মৃতের বড় মেয়েকে গ্রেফতার করেছে। তাকে নাবালিকাদের আশ্রমে রাখা হয়েছে। ফৌজদারি আইনে মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।