নিজস্ব প্রতিনিধি: বিয়ের প্রস্তাব ফেরানোয় বেঙ্গালুরুর প্রেসিডেন্সি কলেজের (Presidency College) এক ছাত্রীকে ছুরিকাঘাত করে খুন (Murder) করার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ছাত্রীর নাম লায়াস্মিতা (Layasmitha)। ১৯ বছর বয়স তার। কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর প্রেসিডেন্সি কলেজে বি টেক এর ছাত্রী ছিল সে। তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল পবন কল্যাণ নামে এক দূর সম্পর্কের তুতো ভাই। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় লায়াস্মিতা। জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর নৃপাতুঙ্গা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Nrupathunga University) পড়াশোনা করত ওই ছাত্রীর তুতো ভাই পবন কল্যাণ (Pawan Kalyan)। ২১ বছর বয়সী পবন কল্যাণ বিসিএ’এর ছাত্র ছিল।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার পবন কল্যাণ এসেছিল লায়াস্মিতার কলেজে। প্রেসিডেন্সি কলেজের করিডোরে লায়াস্মিতাকে আচমকা ছুরি দিয়ে একাধিকবার আঘাত করে পবন। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে লায়াস্মিতা। এরপর সেই ছুরি দিয়ে নিজের বুকেও আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে পবন কল্যাণ। এই ঘটনার পর তড়িঘড়ি কলেজের নিরাপত্তারক্ষীরা দুজনকেই উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসক লায়াস্মিতাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। জখম পবন কল্যাণ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কিন্তু কেন এই হামলা? লায়াস্মিতার পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, পবন গত তিন-চার বছর ধরে লায়াস্মিতার বাবা-মাকে তার সঙ্গে লায়াস্মিতার বিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে আসছিল। যদিও সেই প্রস্তাব তারা প্রত্যাখ্যান করেছিল। আর এরপরেই ওই ছাত্রীর উপর ছুরি নিয়ে হামলা করে খুন করে পবন। অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কীভাবে ওই যুবক ক্যাম্পাসে প্রবেশ করল তা জানতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে হচ্ছে।