নিজস্ব প্রতিনিধি, ইন্দোর: অনলাইনে দুইজনের পরিচয়। দীর্ঘদিন ধরেই দুইয়ের মধ্যে কথাবার্তা হত। ছেলেটি একদিন তাঁর সঙ্গীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব গ্রহণও করে দ্বিতীয়জন। ছেলেটি তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করলে দ্বিতীয়জন রাজিও হয়। পরে সে ছেলেটির বাড়িতে যায়।সঙ্গীকে প্রকাশ্যে দেখে মাথায় হাত যুবকের।
মেয়ে বলে এতোদিন যার সঙ্গে সে কথা বলে এসেছে, যার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করবে বলে বাড়িতে ডেকেছে সে আসলে তৃতীয় লিঙ্গের। রাগে গজগজ করতে করতে সেই তাঁর প্রেমিকাকে খুন করে ফেলে। ঘটনা ইন্দোরের।
গল্প খুব সহজে বলা হলেও পুলিশকে এই খুনের কিনারা করতে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে। গত ২৮ অগাস্ট পুলিশ মহসিন নামে একজনের দেহের কিছুটা অংশ উদ্ধার করে। দেহের বাকি অংশ কোথায়, তা বের করতে তাদের কার্যত গামছা বেঁধে নামতে হয়েছে। খুনের কিনারা সম্বল করার একমাত্র রাস্তা ছিল সিসিটিভি ফুটেজ। আর সেই ফুটেজ দেখে খুনিকে তারা গ্রেফতার করে।
ধৃতের নাম নূর মহম্মদ। জেরায় সে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। কেন খুন করেছে সেটাও সে পুলিশকে জানিয়েছে। পুলিশ নূর মহম্মদের বাড়ি থেকে দেহের বাকি অংশ উদ্ধার করে। দেহের বাকি অংশ রাখা ছিল একটি বাক্সের মধ্যে। নূর মহম্মদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সাংবাদিক সম্মেলন করে রহস্যজনক খুনের কিনাড়া করার খবর দিয়েছেন।