নিজস্ব প্রতিনিধি, আমদাবাদ: ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসকে ৩৫ রানে হারিয়ে আইপিএলে প্লে অফে যাওয়ার লড়াইয়ে টিকে গেলেন শুভমন গিলরা। প্রথমে ব্যাট করে সাই সুদর্শন ও শুভমন গিলের জোড়া শতরানের সুবাদে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩১ তুলেছিল গুজরাত টাইটান্স। জবাবে আট উইকেটে ১৯৬ রানেই থামল চেন্নাই। শেষের দিকে নেমে ১১ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
শুক্রবার রাতে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ২৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে চেন্নাই। পর পর সাজঘরে ফিরে যান রাচিন রবীন্দ্র (১), অজিঙ্কা রাহানে (১) ও অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। রীতিমতো থরহরি কম্প উঠে যায় চেন্নাই শিবিরে। চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে বুক চিতিয়ে লড়াই করে সেই বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তোলেন দুই বিদেশি অলরাউন্ডার ড্যারিল মিচেল ও মইন আলী। দুজনে জুটি বেঁধে ১০৯ রান যোগ করেন। এক সময়ে দুই বিদেশি ব্যাটারকে অপ্রতিরোধ্য মনে হচ্ছিল। ১৩তম ওভারে বল করতে এসে মিচেলকে (৩৪ বলে ৬৩) ফিরিয়ে দিয়ে গুজরাতকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মোহিত শর্মা। নিজের পরের ওভারে মইন আলীকেও (৩৬ বলে ৫৬) ফেরান তিনি।
পর পর দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। ষষ্ঠ উইকেটে রবীন্দ্র জাদেজা ও শুভম দুবে জুটি বেঁধে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালান। যদিও তেমন সফল হননি। ১৭তম ওভারে ফের শিভমকে (১৩ বলে ২১) সাজঘরে ফিরিয়ে ৩০ রানের জুটি ভাঙেন মোহিত। ১৮তম ওভারে চেন্নাইকে জোড়া ধাক্কা দেন রশিদ খান। প্রথমে ফিরিয়ে দেন রবীন্দ্র জাদেজাকে (১০ বলে ১৮)। এক বল বাদে শূন্য রানে ফেরান মিচেল সান্তনারকে। তখনই নিশ্চিত হয়ে যায় আমদাবাদ থেকে হেরেই ফিরতে হচ্ছে চেন্নাইকে। কেননা জয়ের জন্য তখন ১৩ বলে ৬৩ রানের দরকার ছিল রুতুরাজ গায়কোয়াড়দের। আট নম্বরে নেমে মহেন্দ্র সিং ধোনি ফের ভেল্কি দেখান। যদিও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। তিন ছক্কা ও একটি চারের সাহায্যে ১১ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। উল্টোপ্রান্তে শার্দূল ঠাকুর চার বলে তিন রানে অপরাজিত রয়ে যান। গুজরাতের পক্ষে মোহিত শর্মা ৩১ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন।