এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

শ্লীলতাহানির অভিযোগ: রাজভবনের তিন কর্মীকে তলব লালবাজারের

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজভবনে শ্লীলতাহানির অভিযোগের অনুসন্ধানে নেমে সিসিটিভি ‘র ফুটেজ খতিয়ে দেখছে লালবাজার। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজভবনের ভেতরে সিসিটিভির ফুটেজে যাদের মুখের ছবি দেখা গিয়েছে সেই স্ক্রিনশট তুলে রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। সেখানে রাজভবনের তিনজন কর্মচারীকে দেখা গেছে। তার মধ্যে একজন সচিব ও একজন চিকিৎসক রয়েছেন। এছাড়া রাজভবনে আরও একজন কর্মচারী রয়েছেন। সেই তিন জনকে তদন্তের স্বার্থে লালবাজারে তলব করা হয়েছে। কিন্তু তারা লালবাজারের ডাকে সাড়া দেয়নি বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি রাজভবনের(Rajbhavan) এক অস্থায়ী মহিলা কর্মচারী রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের(C V Ananda Bose) বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনেন।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হেয়ার স্ট্রীট থানায়(Hare St.P.S.) ওই মহিলা কর্মচারী লিখিত অভিযোগ জমা দেন। এরপর তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। ওই মহিলা কর্মচারী অভিযোগ করেন তাকে গত ২৪ শে মার্চ রাজভবনের কনফারেন্স রুমে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। ওই ঘটনার পর তিনি নিচের তলায় সচিবের ঘরে যান। সেখানে ওই চিকিৎসক ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে যেয়ে ওই মহিলা কর্মচারীকে সচিবের ঘরে যেতে দেখা গিয়েছে। এদিকে সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যপাল(Govonor) রক্ষাকবচ পান। তার বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি তদন্ত সম্ভব নয়। লালবাজারে(Lalbazar) পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে তারা একটি অভিযোগের অনুসন্ধান করছেন। কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন না। তাই তারা সিসিটিভির ফুটেজ রাজ্যের পূর্ত দফতরের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন। কারণ রাজভবনের ভেতরে নিরাপত্তার দায়িত্বে কলকাতা পুলিশ রয়েছে। কলকাতা পুলিশের দাবি সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে অভিযোগকারীর বয়ানে অনেকটা অংশ মিলে গিয়েছে। তবে কখন কি ঘটেছে তা ঐ ফুটেজ দেখে বোঝার চেষ্টা করছে কলকাতা পুলিশ। এর আগে সিসিটিভির এই ফুটেজে রাজভবন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছিল কলকাতা পুলিশ(Kolkata Police)।

কিন্তু রাজভবন কোন ফুটেজ কলকাতা পুলিশকে দেয়নি। উপরন্তু রাজ্যপাল রাজভবনের সমস্ত কর্মচারীকে জানিয়ে দিয়েছিলেন পুলিশের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করা যাবে না। রাজভবনের ঘটনায় কেউ বাইরের কারও সঙ্গে কোনও কথা বলতে পারবে না। এরপর বৃহস্পতিবার ঘটনার দিনের সিসিটিভির ফুটেজ রাজভবন কর্তৃপক্ষ নিজেই প্রকাশ্যে নিয়ে আসে। রাজ্যপাল স্পষ্ট জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার পুলিশ ছাড়া রাজ্যের যে কোনও নাগরিক চাইলেই ফুটেজ দেখতে পারবেন। সেই মতো যারা ফুটেজ দেখতে গিয়েছিলেন তাদের দেখানো হয়। এক ঘন্টা উনিশ মিনিটের সেই ফুটেছে অভিযোগকারীকে দু’বার যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে। একবার তিনি রাজভবনের দিক থেকে হন্তদন্ত হয়ে পুলিশ আউট পোস্টের দিকে যাচ্ছেন। আবার কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে বেরিয়ে পাশের ঘরে যাচ্ছেন। নথ গেটের সামনে লাগানো দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা তে এই ছবি ধরা পড়েছে। এদিকে ওই মহিলা রাজভবনের কনফারেন্স রুমে তার শ্লীলতাহানি বলে হয়েছে বলে যে অভিযোগ এনেছেন, সেখানকার কোনও ফুটেজ রাজভবন প্রকাশ করেনি। যেটুকু ছবি ধরা পড়েছে তা রাজভবনের বাইরের ছবি।

রাজভবন জুড়ে মোট ৪০ টি সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা রয়েছে। তবে রাজ্যপাল ওপরে যেখানে থাকেন সেখানে কোনও ক্যামেরা নেই। যা রয়েছে তা রাজভবনের একতলা এবং বাইরের বিভিন্ন স্পট ঘিরে। এদিকে অভিযোগকারীর ছবি রাজভবন প্রকাশ করার পরে প্রশ্ন উঠেছে ওই মহিলা কর্মচারীর অনুমতি ছাড়া কেন তার ছবি প্রকাশ করা হল?  এদিকে সংবিধানের রক্ষাকবচ থাকার কারণে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্ত করা যাবে কিনা তা নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে আইন এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী তদন্ত হচ্ছে। যদিও এর মাঝে বিবৃতি জারি করে রাজভবন থেকে পুলিশের প্রবেশ অলিন্দে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জাঙ্গিপাড়া থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পুরো টিমকে সরানো হয়েছে : মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক

বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার ৭ লোকসভা কেন্দ্রে সামগ্রিক ভোটদানের হার ৭৩ শতাংশ

শুক্রবার কলকাতায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় কমলা সর্তকতা জারি

কমিশনের নির্দেশে ভূপতিনগর ও পটাশপুর থানার নতুন ওসিরা দায়িত্ব নিলেন

প্রচারের শেষ লগ্নে ঝড়, ২৭ মে সুদীপের হয়ে পদযাত্রা মমতার

বিধান ভবনে খাড়গের ছবিতে কালি, অধীরের কাছে রিপোর্ট তলব কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর