নিজস্ব প্রতিনিধি, পাটনা: মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল অপহরণের। সেই অভিযোগের জেরে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁকে আইন মন্ত্রক থেকে সরিয়ে প্রায় গুরুত্বহীন মন্ত্রকে বদলি করে দেন। আর আইন মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয় শামিন আহমেদকে। এই মন্ত্রক বদল নিয়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে থাকে। ইস্তফা না দিলে পরিস্থিতি অন্যদিকে ঘুরে যাবে এই আশঙ্কায় ইস্তফা দিয়েছেন কার্তিক কুমার। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেছেন, পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের কাছে। সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, দলের তরফ থেকেই তাকে ইস্তফা দিতে বলা হয়। রাজনৈতিকমহলের একাংশের মতে, কার্তিক কুমার ইস্তফা দেওয়া বিজেপির সরকার বিরোধী আন্দোলনের বেলুন ফুটো হয়ে গেল। আগামীদিনে নীতীশের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে তাদের নতুন ইস্যুর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
রাষ্ট্রীয় জনতা দল এই ইস্তফার ব্যাপারে সে অর্থে কড়া প্রতিক্রিয়া দেয়নি। দলের মুখপাত্র চিত্তরঞ্জন গগন জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত। এই নিয়ে দলের কিছু বলার নেই। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, বিরোধীদের চাপে পড়েই কি কার্তিক কুমার ইস্তফা দিয়েছেন। জবাবে মুখপাত্রটি বলেন, এখানে চাপের কোনও প্রশ্ন উঠছে না। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আগেই জানিয়েছিলেন, ক্যাবিনেট হবে স্বচ্ছ। ইস্তফার মূল কারণ সেটাই।
তবে এই ইস্তফায় বিজেপি কূটনৈতিক জয় দেখছে। দলের জাতীয় মুখপাত্র গুরু প্রকাশ জানিয়েছেন, তাদের লাগাতার আন্দোলনের চাপে পড়েই কার্তিক কুমার ইস্তফা দিয়েছেন। ইস্তফা না দিলে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঝাঁঝ আগামীদিনে আরও তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।