নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত পোহালেই ত্রিপুরার আগরতলায় সভা করবেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী রবিবার আগরতলার রবীন্দ্রভবনের সামনে রাজনৈতিক সভা করার কথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার জন্য শনিবার সন্ধ্যা থেকেই উত্তরবঙ্গ থেকে কিছু নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারাই আগামিকাল হাজির থাকতেন অভিষেকের সভায়। কিন্তু শুক্রবার রাতে আচমকাই নতুন নিয়ম চালু করে বিপ্লবের সরকার। অভিষেকের সভা বানচাল করতে ত্রিপুরা সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয় পশ্চিমবঙ্গ সহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে ট্রেন, বিমান কিংবা সড়কপথে গেলে করোনার আরটিপিসির নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক।
আর সেই নিয়মেই ফেঁসে গিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সৌরভ চক্রবর্তী। কোভ্যাক্সিনের জোড়া ডোজ নেওয়া থাকলেও ত্রিপুরা পুলিশের তরফে সে রাজ্যে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে সৌরভ ও অন্যান্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের। জানা গিয়েছে, পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক। তাই থানাতেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েছেন আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক। পুলিশের চরম হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার ৩১ অক্টোবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। বিজেপি কর্মীদের দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের ওপর হামলা থেকে শুরু করে পুলিশ-প্রশাসনকে পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে। যার নবতম সংযোজন ঘটল এদিন।
সৌরভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তাঁর কোভ্যাক্সিনের জোড়া ডোজ নেওয়া থাকলেও সেই সার্টিফিকেট দেখিয়েও আগরতলায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না পুলিশ। শনিবার অভিষেকের সভার স্থান বদল নিয়েও পুলিশি হস্তক্ষেপ চোখে পড়ে। অভিষেকের সভার কয়েকঘণ্টা আগে সভাস্থল পরিবর্তন করার নির্দেশ দেয় পুলিশ। সাফ জানানো হয়েছে, রবীন্দ্রভবনের সামনে নয়, বরং রাজবাড়ি সংলগ্ন আস্তবল ময়দানে সরাতে হবে সভা। সেক্ষেত্রে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, আগরতলার ব্যস্ততম এলাকা রবীন্দ্রভবন চত্ত্বর। যদি সেখানে সভা হয়, তাহলে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।