নিজস্ব প্রতিনিধি: শনি দুপুরেই ফেসবুক লাইভে তিনি বার্তা দিয়েছিলেন কোনও কিছুই তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচীকে আটকাতে পারবে না। বাংলার বঞ্চিত মানুষদের দিল্লি নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হবেই। ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার বকেয়া টাকা আদায় করেই ছাড়বেন তাঁরা। সেই কথা রাখার জন্যই রবি দুপুরেই তিনি দিল্লির বিমান ধরতে চলেছেন। তিনি মানে তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। এদিন রাত ৮টায় দিল্লিতে(New Delhi) তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়িতে দিল্লির কর্মসূচি(Dharna Programme) নিয়ে থাকছে তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজি বৈঠক। সেখানে থাকবেন দলের সব সংসদ এবং রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরা।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের দিল্লি অভিযান কর্মসূচি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও পরিবর্তন নেই। এদিন সকাল থেকেই কলকাতা(Kolkata) বিমানবন্দরে চোখে পড়ছে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের ভিড়। সবাই দিল্লির বিমান ধরেছেন। বিকেলের মধ্যে পৌঁছে যাবেন সকলে। দুপুরে দিল্লির বিমান ধরবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিকাল ও পরশুর মেগা কর্মসূচি নিয়ে এখন তৃণমূলের অন্দরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। এদিন তৃণমূলের সাংসদদের পাশাপাশি দলের বিধায়কদেরও দিল্লির পথে বিমান ধরতে দেখা গিয়েছে। কার্যত সন্ধ্যার মধ্যে সকলকে দিল্লিতে পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। এদিন রাতে যে বৈঠক হবে দিল্লিতে সেখানে আগামী দু’দিনের কর্মসূচি নিয়ে সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে তৃণমূলের দিল্লিযাত্রার পথে ব্যাঘাত ঘটাবার অভিযোগ উঠেছে গেরুয়া শিবিরের দিকে। কেননা এদিন কলকাতা থেকে দিল্লির একটি বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে কোনও কারণ না দেখিয়েই। ভিস্তেরা এয়ারলাইন্সের ওই বিমানে এদিন একাধিক তৃণমূল সাংসদ ও বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রীদের দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি এবং মোদি সরকার তৃণমূলের এই ধর্না কর্মসূচী নিয়ে ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই তাঁরা উঠেপড়ে লেগেছেন তৃণমূলের নেতামন্ত্রী, সাংসদ-বিধায়ক ও দলের কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি বাংলার বঞ্চিরত মানুষদের দিল্লি যাত্রা ঠেকাতে। সেই সূত্রেই বিমান বাতিল করা হয়েছে। যদিও ওই বিমানে যা সব তৃণমূল সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী ও নেতাদের দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল তাঁরা ইতিমধ্যেই হয় অন্য বিমানে নাহয় সড়কপথে দেশের রাজধানীর পথে রওয়ানা দিয়ে দিয়েছেন।