নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনের সেমিফাইনাল ত্রিপুরার আগরতলা পুরসভা। সেই পুরসভা ভোটের ঠিক ন’দিন আগেই ইস্তেহার প্রকাশ করল ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার আগরতলায় তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়, সুবল ভৌমিক, বিধায়ক-অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী, জুন মালিয়া ও অর্পিতা ঘোষ, সুস্মিতা দেব ও মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনদের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে এই ইস্তেহার পত্রের ঘোষণা করা হয়। মূলত ত্রিপুরা পুরসভার জ্বলন্ত সমস্যা গুলি তুলে ধরে ও ভোটে লড়তে গিয়ে বারবার তৃণমূল প্রার্থীদের আক্রান্ত নিয়ে প্রথমেই সরব হন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।
সাংবাদিক বৈঠকে এদিন সুখেন্দু শেখর জানান আগরতলা পুরসভায় ক্ষমতায় এলে নটি কাজ করবে তৃণমূল। সেই ন’টি বিভাগ হল, উন্নয়ন, সুরক্ষা, নিকাশি ব্যবস্থা, নাগরিক সুবিধা, কর, পানীয় জল, দারিদ্রতা, হকার সমস্যা। মূলত এই ন’টি বিভাগে কাজ করবে ত্রিপুরা তৃণমূল আগরতলায় ক্ষমতায় এসে। আগরতলা পুরসভায় ক্ষমতায় আসলে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রতি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্ন ও মহিলা সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে শৌচাগার নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে। ২টি বায়ো টয়লেট নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও রয়েছে। আগরতলা শহরের চারটি প্রধান এলেকায় বিনামূল্যে হাইস্পিড ওয়াইফাই সুবিধে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। বাজার ও পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের ওপরেও জোর তৃণমূলের ইস্তেহারে। সামাজিক সুরক্ষার জন্য ৩০০ মিটার অন্তর রাস্তায় আলো ৩০ প্রধান চৌমাথায় বাতিস্তম্ভ লাগানো হবে। শহরের ১০০ শতাংশই সিসিটিভি ক্যামেরা রাখা হবে। দিন ও রাতে নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য টহলদারি ভ্যান চলবে শহরে। নারীদের জন্য পিঙ্ক অটো ট্যাক্সি চালানো হবে আগরতলায়।
তৃণমূলের ইস্তেহারে জানানো হয়েছে, উন্নত নিকাশি ব্যবস্থা ও বর্জ্যপদার্থকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কাজে লাগিয়ে সারের কাজে ব্যবহার করা। কলকাতা পুরসভার মত ত্রিপুরাতে আগরতলা পুরসভাতেও চালু হবে হ্যালো মেয়র। প্রতি পাঁচ ওয়ার্ড পিছু হেল্প ডেস্ক গড়া হবে, যেখানে নাগরিকদের সমস্যার কথা শুনে সমাধানের কাজ করা হবে। পানীয় জলের উপর থেকে কর মকুব করা হবে আগরতলা পুরসভায় তৃণমূল ক্ষমতায় এলেই। যে সমস্ত পরিবারের বার্ষিক আয় ১০ লক্ষ টাকার নীচে তাদের সম্পত্তি করব কমানো হবে ২০ শতাংশ, পরিশ্রুত পানীয় জল, হকার সমস্যা সমাধানেরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের ইস্তেহারে।