নিজস্ব প্রতিনিধি, দেহরাদুন: পরকীয়া করতে গিয়ে ফেঁসে গিয়েছিলেন। বিয়ের জন্য লাগাতার চাপ দিয়ে চলছিল প্রেমিকা। শেষ পর্যন্ত পথের কাঁটা উপড়ে ফেলতে প্রেমিকাকেই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। উত্তরাখণ্ড পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন ভারতীয় সেনার লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার এক আধিকারিক। ধৃতের নাম রামেন্দু উপাধ্যায়। সেনাবাহিনীর এক পদস্থ আধিকারিকের খুনের দায়ে গ্রেফতারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
গতকাল সোমবার সিরওয়াল গড় এলাকা থেকে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সন্দেহজনক অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই মহিলাকে। তদন্তে নেমে বেশ কিছু সূত্র ধরে পণ্ডিতওয়ারি প্রেম নগর থেকে ভারতীয় সেনার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রামেন্দু উপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরার মুখে ধৃত সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, তিন বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গের এক সেনা ঘাঁটিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় শিলিগুড়ির এক নর্তকীশালায় শ্রেয়া শর্মা নামে বছর তিরিশের নেপালি যুবতীর সঙ্গে আলাপ হয় তার। ক্রমেই পরিচয় ঘনিষ্ঠতায় রূপান্তরিত হয়।
উত্তরবঙ্গ থেকে উত্তরাখণ্ডে বদলি হওয়ার সময়ে শ্রেয়াকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। দেহরাদুনে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে সেখানে রাখেন প্রেমিকাকে। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরেই বিয়ের জন্য রামেন্দুকে চাপ দিয়ে চলছিলেন শ্রেয়া। তখনই পথের কাঁটা সরানোর জন্য পরিকল্পনা করেন ধৃত সেনা আধিকারিক। পরিকল্পনামাফিক গত শনিবার রাতে রাজপুর রোডের একটি ক্লাবে বসে একই সঙ্গে মদ্যপান করেন রামেন্দু ও শ্রেয়া। তার পরে দু’জনে লং ড্রাইভে বের হন। থানো রোডের কাছে একটি নির্জন এলাকায় পৌঁছনোর পরে পিছন থেকে আচমকাই শ্রেয়ার মাথা লক্ষ্য করে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। একাধিকবার হাতুড়ির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শ্রেয়া। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পরেই একটি ঝোপে প্রেমিকার মৃতদেহ ছুড়ে ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যান রামেন্দু।