-273ºc,
Sunday, 4th June, 2023 9:36 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রায় ৫০ বছরের আগের ঘটনাই যেন ফিরে এল ২০২৩’র ভারতের(India) বুকে। ১৯৭৫ সালের ১২ জুন এলাহাবাদ হাইকোর্ট(Allahabad High Court) দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির(Indira Gandhi) সাংসদ পদ কেড়ে নিয়েছিল নির্বাচনে বেআইনি পথ ব্যবহার করায়। এদিন সেই ইন্দিরা গান্ধির নাতি রাহুল গান্ধির(Rahul Gandhi) সাংসদ পদও খারিজ করে দেওয়া হল। শুধু তাই নয়, এলাহাবাদ হাইকোর্ট যেমন ইন্দিরা গান্ধির বিরুদ্ধে পরবর্তী ৬ বছর কোনও নির্বাচনে লড়াই না করার নিয়ম ঝুলিয়ে দিয়েছিল, এদিন রাহুল গান্ধির সামনেও সেই একই নিয়মের খাঁড়া ঝুলিয়ে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন রাহুলের নাম না করেই মোদিকে আক্রমণ করে টুইট মমতা-অভিষেকের
ঠিক কী হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধির সঙ্গে? ১৯৭১ সালে উত্তরপ্রদেশের রায়বেরালি লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধি। কিন্তু সেই নির্বাচনে জয়ের জন্য তিনি অসৎ উপায় অবলম্বন করেছিলেন এবং নিজের জয়ের জন্য সমস্ত রকমের সরকারি ক্ষমতাকে প্রয়োগ করেছিলেন বলে অভিযোগ তোলেন তাঁর বিরোধী পরাজিত প্রার্থী রাজ নারায়ণ। সেই অভিযোগ নিয়ে তিনি এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলাও দায়ের করেন। সেই মামলার শুনানিতে রাজ নারায়ণের তরফ থেকে একাধিক প্রমাণও দাখিল করা হয় ইন্দিরার বিরুদ্ধে। দীর্ঘ ৪ বছর ধরে শুনানি চলার পরে ১৯৭৫ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দেয়। নির্বাচনে অসদাচরণ, মাত্রাতিরিক্ত নির্বাচনী ব্যয় এবং প্রশাসন-যন্ত্র ও সরকারি আধিকারিকদের দলীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগে আদালত ইন্দিরাকে দোষী সাব্যস্ত করে।
আরও পড়ুন রাহুলের নিরাপত্তাও প্রত্যাহার করে নিচ্ছে শাহী মন্ত্রক
সেই মামলার রায়ে আদালত ইন্দিরার নির্বাচনী আসনটি কেড়ে নেয় এবং পরবর্তী ছয় বছরের জন্য তাঁকে সরকারি পদে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সংবিধান মোতাবেক, যেহেতু প্রধানমন্ত্রীকে ভারতীয় সংসদের দুই কক্ষ লোকসভা বা রাজ্যসভা কোনও একটির সদস্য হতে হয়, সেই হেতু তিনি কার্যকরভাবে পদ হতে অপসারিত হন। ঘটনাচক্রে এবার রাহুল গান্ধির ক্ষেত্রেও যেন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে। ‘সব চোরের পদবি মোদিই হয় কেন’, রাহুলের এই বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে গুজরাতের সুরাত জেলা আদালতে মামলা দায়ের করেন বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি। পূর্ণেশের দায়ের করা এই মানহানির মামলায় গতকাল সুরাত আদালত রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং ২ বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দেয়। যদিও গতকালই তিনি ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনে ছাড়া পান। এরপর সুরাত আদালতের রায়কে হাতিয়ার করে এদিন সংসদের সচিবালয় থেকে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের সিদ্ধান্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেয়।