নিজস্ব প্রতিনিধি, গুয়াহাটি: অসম (Assam) ক্রমশই জিহাদিদের স্বর্গ হয়ে উঠেছে। এমনই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Chief Minister Himanta Biswa Sarma)। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে ‘মিট দ্য প্রেস’ (Meet the press) অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তর দিতে মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) বলেন, ‘রাজ্যে সম্প্রতি ছয়জন বাংলাদেশি নাগরিক (Bangladeshi) ধরা পড়েছে। এরা আনসারুল ইসলাম গোষ্ঠীর সদস্য। অসমে তারা প্রবেশ করেছিল এখানকার তরুণদের (youth) জিহাদি কার্যকলাপে উদ্ধুদ্ধ করতে। চলতি বছর মার্চে বরাপেটায় সন্ধান পাওয়া যায় প্রথম মডিউলের (module) । একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিভিন্ন রাজ্যে থেকে ইমামরা অসমে প্রবেশ করছে। তাদের উদ্দেশ্য মুসলিম সম্প্রদায়ের তরুণদের জিহাদি (jihadi )মন্ত্রে দীক্ষিত করা। বিষয়টি রীতিমতো উদ্বেগের। হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কথায় বিচ্ছিন্নতাবাদী (insurgency activities) কার্যকলাপ এবং জিহাদি কার্যকলাপের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। বহু বছর আগে জিহাদি মন্ত্রে দীক্ষিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর পরবর্তী ধাপ ইসলামি মৌলবাদ প্রচারে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করা, পরবর্তী ক্ষেত্রে ইসলামের মৌলবাদ (fundamentalism) প্রচারে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ, যা চূড়ান্ত ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের রূপ নেয়। মুখ্যমন্ত্রীর আরও দাবি, করোনাকালে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে আসা নাগরিকেরা এই ধরনের বেষ কয়েকটি ক্যাম্প চালায়।
রাজ্যবাসীর (people of Assam) কাছে তাঁর আর্জি, এই ধরনের কোনও শিবির তাদের নজরে পড়লে বা তারা যদি খোঁজ পান এলাকার কোনও তরুণ জিহাদি কার্যকলাপে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছে, যোগাযোগ রাখছে এই সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে, তারা যেন অবিলম্বে পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে।