নিজস্ব প্রতিনিধি: কানপুরে আবারও বাড়ল জিকা আক্রান্তের সংখ্যা। কানপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত ৮৯ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে ১৩ টি শিশু। ইতিমধ্যেই আক্রান্তদের আরও দ্রুত সনাক্ত করতে শুরু হয়েছে র্যাপিড টেস্ট। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত যারা জিকা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদেরও দ্রুত শনাক্ত করে আলাদা করার কাজ চলছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রতিদিন প্রায় দেড় থেকে দু হাজার লোকের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের কানপুরে প্রথম জিকা ভাইরাসের সন্ধান মেলে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন বায়ুসেনার এক আধিকারিক। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তাঁর সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করে নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। তাতেই দেখা যায় ওই আধিকারিকের সংস্পর্শে এসে আরও ৩০ জন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি সপ্তাহের বুধবার এক ধাক্কায় আরও ২৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তখনই বলা হয়েছিল প্রায় আড়াই, তিন হাজার মানুষের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পরে শনিবার দেখা যায় কানপুরে জিকা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭০। কিন্তু সোম সকালে সেই সংখ্যাটাই বেড়ে ৮৯ তে পৌঁছল।
জিকা প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের কানপুর জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ নেপাল সিং জানিয়েছেন, ‘কানপুর হল উত্তরপ্রদেশের সবথেকে জনবহুল এলাকা। সেই এলাকায় জিকা ছড়িয়ে পড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে কয়েকটি টিম গঠন করে জিকা আক্রান্তদের আরও দ্রুত শনাক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে।’ পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘একজন গর্ভবতী মহিলা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যা এমন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ার কারণ হিসাবে ডাঃ সিং জানিয়েছেন, ‘র্যাপিড পরীক্ষার ওপর জোর দেওয়ায় দ্রুত জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের শনাক্ত করা হচ্ছে। এর জন্যই প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।